বিদ্যুতের যান্ত্রিক ত্রুটি ঠিক করতে এসে কাটমানির দাবি! অভিযোগ বাড়ির মালিকের। এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় পড়ে গেল এলাকা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে।
বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন। দ্বিতীয় বারের জন্য তাঁরা কাজে এলে তাদের আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে যায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুলাল কর্মকারের বাড়ি বালুরঘাট শহরের হোসেনপুর সন্ন্যাস কলোনী এলাকায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুলালবাবুর বাড়িতে বিদ্যুতের যান্ত্রিক সমস্যা হচ্ছিল। বাড়ির পাশেই বিদ্যুতের খুঁটিতে সমস্যা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
এরপরে সন্ধে থেকে বিদ্যুৎ দফতরের টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে দুলালবাবু-সহ স্থানীয় প্রতিবেশীরা। কিন্তু ফোন পাওয়ার পরেও ঘটনাস্থলে তারা আসেনি। এমনই অভিযোগ উঠেছে। ততক্ষণে অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে।
এরপর বুধবার গভীর রাতে তাঁরা সেখানে যান। জানা গিয়েছে, রাত ১ টার সময় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা আসেন। অভিযোগ, সেই বিদ্যুতের খুঁটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি সমাধান করতে কাটমানি চায় কর্মীরা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা দু'হাজার টাকা দাবি করে।
কিন্তু বাড়ির মালিক মিষ্টি খাওয়ার জন্য কিছু টাকা দিতে রাজিও হয়। অভিযোগ, নিজেদের দাবি মতো টাকা না পাওয়ায় তাঁরা কাজ করেননি। পুরো টাকা দিতে না পারায় ওই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা জোর করে সেই খুঁটি থেকে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে চলে যায়।
এদিন সকালে ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সকালে বিদ্যুৎ দফতরের অন্য একটি দল আসলে তাদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব দাসের দাবি, তিনি বিদ্যুৎ দফতরে লাইন সারাইয়ের ব্যাপারে ফোন করেছিলেন। পরে কর্মীরা আসেন। তবে তারা টাকা দাবি করেছিলেন। না দেওয়ায় চলে গিয়েছিন। কোনও কাজ করেননি।
তাঁর আরও দাবি, যাঁর বাড়িতে সমস্যা তিনি মিষ্টি খাওয়ার জন্য একশো টাকা দিতে চেয়েছিলেন। তবে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা দু'হাজার টাকা চেয়েছিলেন। না দেওয়ার লাইন কেটে দেন। এদিন সকালে আর এক দল আসে।
তাঁর আরও দাবি, তখন তাদের কাছে থেকে জানতে চাই এমন হল কেন? জানতে চাওয়া হয় কেন এমন হয়েছে। তাই তাদের গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। বিদ্যুৎ কর্মীরা জানিয়েছেন, টাকা লাগে। এমনই নিয়ম। ইঞ্জিনিয়ার এ ব্য়াপারে বলতে পারবেন। আমরা ইঞ্জিনিয়ারকে এখানে আসার অনুরোধ করেছি।