বুধবার সকাল থেকে আকাশে মেঘ থাকলও বেলা বাড়তেই আকাশ মেঘলা হয়ে যায়। দুপুর নাগাদ আকাশ কালো করে আসে। দুটো নাগাদ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে কলকাতায়। এদিকে বহু প্রতীক্ষিত নিম্নচাপের জন্ম হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। তবে এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কোনও পূর্বাভাস দেয়নি মৌসম ভবন। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবারই গভীর নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরও আরও শক্তি বাড়াতে সেটি। শুরুতে উত্তরপূর্ব অভিমুখে এগোবে নিম্নচাপ। এই অভিমুখে এগোলে গন্তব্য হবে বাংলাদেশ-মায়ানমার। যদিও, চূড়ান্ত গন্তব্য এখনও স্পষ্ট করা হয়নি।
বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। দুটো নাগাদ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। তিনটে পর্যন্ত বৃষ্টি মুষলধারে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে জেলাগুলিতে। বৃহস্পতিবার থেকে জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য কমলেও শনিবার থেকে সমস্ত জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উপকূলের জেলাগুলিতে সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে বলে মৎস্যজীবীদের ২৩ তারিখের মধ্যে সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধও করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
তা ছাড়া পূর্ব বাংলাদেশের উপর থাকা ঘূর্ণাবর্ত এবং উত্তরপ্রদেশ, বিহার হয়ে গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর দিয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকা অক্ষরেখার প্রভাবে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে। বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মূর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বৃষ্টির পরিস্থিতি রয়েছে।