
মরশুমের শীতলতম দিনে কাঁপছে কলকাতা। শুক্রবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি শীতের এখনও পর্যন্ত সর্বনিম্ন। বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ বড়দিনে কলকাতার পারদ ১৩ ডিগ্রির ঘরে নামলেও শুক্রবার সেই রেকর্ড ভেঙে আরও এক ধাপ নীচে নেমেছে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর কলকাতায় ঠিক ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। বছরের শেষলগ্নে ফের একই মাত্রার ঠান্ডা ফিরে আসায় শহরজুড়ে শীতের প্রকোপ স্পষ্ট।
তবে গোটা রাজ্যে শীতলতম জেলার তকমা পেয়েছে পাহাড়ের রানি দার্জিলিং। রাজ্যের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সেখানেই, মাত্র ৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডার বিচারে কার্যত ‘ফার্স্ট বয়’ দার্জিলিং। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের তুলনায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও শীতের কামড় কম নয়।
কোন জেলায় কত তাপমাত্রা
শ্রীনিকেতন - ৮ ডিগ্রি
বর্ধমান - ৮.৮ ডিগ্রি
কল্যাণী - ৯ ডিগ্রি
সিউড়ি - ৯ ডিগ্রি
বাঁকুড়া - ৯.২ ডিগ্রি
পুরুলিয়া - ১০ ডিগ্রি
আসানসোল - ১০.২ ডিগ্রি
পানাগড় - ১০.৬ ডিগ্রি
ক্যানিং - ১১ ডিগ্রি
দিঘা - ১১.৬ ডিগ্রি
কাঁথি - ১২ ডিগ্রি
দমদম - ১২.২ ডিগ্রি
সল্টলেক - ১৩.৫ ডিগ্রি
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আপাতত রাজ্যজুড়ে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী দু’ থেকে তিন দিনে তাপমাত্রা বাড়ারও বিশেষ ইঙ্গিত নেই। বরং দক্ষিণবঙ্গে শীতের প্রভাব আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এই মুহূর্তে কোনও নিম্নচাপ বা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা না থাকায় উত্তুরে হাওয়া বাধাহীনভাবে বইছে। তারই জেরে পারদ দ্রুত নামছে। এর প্রভাব শুধু রাতেই নয়, আগামী কয়েক দিন দিনের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকবে।
অনুমান করা হচ্ছে, শনিবার ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই তাপমাত্রা কমার ধারা বজায় থাকবে। রবিবার থেকে নতুন বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত আবহাওয়া তুলনামূলক স্থিতিশীল হলেও খুব বেশি উষ্ণতার সম্ভাবনা নেই।