Sikkim Road Clearance Update: আগামী ৫ থেকে ৯-ই অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। বাদ যাচ্ছে না উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। এদিকে টানা বৃষ্টিতে প্রতিদিনই ধস নামতে শুরু করেছে। শনিবারও সকালে দার্জিলিং শহরের একটি রাস্তায় ধস নামে। তাতে যানজট তৈরি হয়। সেতিঝোরা, ২৮ মাইল এলাকাতে ধস নেমে শুক্রবার থেকে রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে।
সিকিম যাওয়ার সোজাপথ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যুদস্ত হয়ে রয়েছে। বর্ষার শুরু থেকেই বিগত ৪ মাসে এই রাস্তাটিই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সার্কিটের কাছে। প্রশাসন ও পর্যটনের কাছে এই রাস্তা এখন গলগ্রহ। সিকিমে যাঁরা কাজে ও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। যাঁদের বুকিং হয়ে গিয়েছে, তাঁদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকটি রুট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই রুট ফলো করলে যাত্রীদের অনেকটা সুবিধা হবে।
তিস্তা নদীর জলের উচ্চতা আবারও বেড়ে যাওয়ায় মেলি খেলার মাঠ এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে।
২৮ সেপ্টেম্বর রাস্তার অবস্থা- নামচি জেলা
1. নামচি থেকে রংপো হয়ে নামথাং - রাস্তা খোলা।
2. নামচি থেকে রাভাংলা/টেমি - টিফিন দারায়- রাস্তা খোলা।
3. নামচি থেকে সিকিপ হয়ে কিচুদুমরা - শুধুমাত্র বাইক, ছোট গাড়ির জন্য রাস্তা খোলা।
4. নামচি থেকে জোরথাং - রাস্তা খোলা
5. জোরথাং থেকে মেলি ব্লকে ভরি কোলা এবং লম্ভা বীর- রাস্তা খোলা।
6. টেমি থেকে সিংতাম - রাস্তা খোলা।
7. ইয়াংগাং থেকে সিংটাম - শুধুমাত্র LMV-এর জন্য-রাস্তা খোলা।
8. রাভাংলা থেকে ইয়াংগাং পর্যন্ত- গোগুনি পর্যন্ত যাওয়া যাবে।
9. রাভাংলা থেকে টেমি হয়ে দামথাং - পরিষ্কার।
10. রাভাংলা থেকে সিংটাম হয়ে মাংলে বেন ফাটকে-রাস্তা বন্ধ।
11. লিংজোর কাছে পাংরিং খোলাচায় রাভাংলা থেকে লেগশিপ- রাস্তা বন্ধ।
12. কেওজিং-টিংমু হয়ে রাভাংলা থেকে লেগশিপ - রাস্তা খোলা
13. লিংমু থেকে মাখা - শুধুমাত্র বাইক ও হালকা গাড়ির জন্য রাস্তা খোলা।
14. বারমিওক থেকে ফোংলা - বেতগড়িতে রাস্তা বন্ধ।
15. মেলি সিপি থেকে মেলি বাজার - রাস্তা বন্ধ।
নামচি জেলার অধীনে সমস্ত রাস্তা ছোট ও মাঝারি গাড়ির জন্য খোলা।
শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, পুজোয় উত্তরবঙ্গে গিয়েও স্বস্তি মিলবে না। কার্যত গোটা রাজ্যেই তুমুল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া অফিসে পুজোর আবহাওয়া নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জানানো হয়, পুজোয় প্রতিদিন অর্থাৎ ১০ তারিখ থেকে ১৩ অক্টোবর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
পুজোয় উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ তারিখে উত্তরবঙ্গে তিনটি জেলায় দু'এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পুজোর সপ্তাহে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
আবহাওয়া কর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, পুজোর পরের সপ্তাহ অর্থাৎ লক্ষ্মীপুজোর সপ্তাহেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।তবে আজ, দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ পাঁচটি জেলাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির রেড অ্যালার্ট আছে। কালীপুজো বা দীপাবলির সপ্তাহে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ৫ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে থাকবে ঝোড়ো হাওয়া বজ্রবিদ্যুৎ সহ। পুজোর ছুটিতে যারা উত্তরবঙ্গে ঘুরতে যাবেন, তাদের ঘোরা মাটি করতে পারে বৃষ্টি।