
রাজ্যজুড়ে ভোরের হাওয়ায় শীতের হালকা স্পর্শ মিলছে। সকালবেলা হাতে মোলায়েম ঠান্ডার ছোঁয়া, আর বেলা বাড়লেও গরমের দাপট নেই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, কার্তিকেই কি ঢুকছে পুরোপুরি শীত?
তবে এই জল্পনায় আপাতত পূর্ণচ্ছেদ টানল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাদের মতে, আগামী সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত। অর্থাৎ হালকা শীতের আমেজ থাকলেও মূল শীতের জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।
দক্ষিণবঙ্গ: কুয়াশার দাপট বাড়বে
রবিবার থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে থাকবে ঘন কুয়াশা। দৃশ্যমানতা কমে কিছু জায়গায় ২০০ মিটার পর্যন্ত নামতে পারে। রাতের তাপমাত্রা দু’দিন তেমন বদলাবে না। গাঙ্গেয় বাংলার কিছু অংশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি কম থাকতে পারে। এরপর তিন দিন পারদ আবার ক্রমাগত বাড়বে।
উত্তরবঙ্গ: একই প্রবণতা
উত্তরবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। রবিবার থেকে মঙ্গলবার ভোরে কুয়াশা ঘন হবে, দৃশ্যমানতা নামবে ২০০ মিটার পর্যন্ত। রাতের তাপমাত্রায় বড় পরিবর্তন নেই। কিছু এলাকায় সামান্য ঠান্ডা বাড়তে পারে, স্বাভাবিকের তুলনায় ২-৩ ডিগ্রি কম। এর পরের তিন দিন তাপমাত্রা আবার বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজ্যের কোথাও আপাতত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শুষ্ক আবহাওয়া এবং হালকা ঠান্ডার প্রবণতা বজায় থাকছে দক্ষিণ ও উত্তর-দুই বঙ্গেই। তবে ভোরের দিকে বেড়ে চলেছে কুয়াশার দাপট।
আগামী রবিবার থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে। অনেক এলাকায় দৃশ্যমানতা কমে ২০০ মিটার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। তবে সব জায়গায় সমান কুয়াশা থাকবে না-আংশিক এলাকায় কুয়াশার ঘনত্ব বেশি থাকবে। রাতের তাপমাত্রা আগামী দু’দিন বেশ পরিবর্তন হবে না। গাঙ্গেয় বাংলার কিছু অংশে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি কমে যেতে পারে। এরপরের তিন দিন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে ২-৩ ডিগ্রি বাড়বে।
উত্তরবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গের মতোই রবি থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত কুয়াশার চাদর নামবে। দৃশ্যমানতা নেমে যেতে পারে ২০০ মিটারে। রাতের তাপমাত্রায় আগামী দু’দিন বড়সড় কোনও পরিবর্তন নেই। কিছু জায়গায় রাতের পারদ স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি কম থাকবে।