এ বছর বর্ষায় দক্ষিণবঙ্গবাসীর জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ১ জুন থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই সময়ে যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হওয়া উচিত ছিল ৫৫৮.৬ মিলিমিটার, সেখানে বাস্তবে বৃষ্টি হয়েছে ৬৫০.৪ মিলিমিটার।
সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি কোথায়?
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বাঁকুড়ায়—৯২১.৭ মিলিমিটার, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৬৫% বেশি। পুরুলিয়াতেও বৃষ্টি হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে—৮৬৭.২ মিলিমিটার, স্বাভাবিকের থেকে ৬৭% বেশি।
কলকাতাতেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি
প্রথমদিকে ঘাটতি থাকলেও জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে একাধিক ভারী বৃষ্টিতে কলকাতার বৃষ্টির পরিমাণে ভারসাম্য ফিরে এসেছে। শহরে এখনও পর্যন্ত ৭৬৫.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২২% বেশি। বিশেষ করে ৮, ২০ ও ২৫ জুলাই—এই তিনদিনে প্রায় ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় ঘাটতি মিটে যায়। হাওড়াতেও ৭৫৯.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩৯% বেশি।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি
দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা সক্রিয় হলেও উত্তরবঙ্গের চিত্র একেবারেই উল্টো। সেখানে ১ জুন থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত স্বাভাবিক বৃষ্টির পরিমাণ হওয়া উচিত ছিল ৯৮৯.৭ মিলিমিটার। কিন্তু বাস্তবে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৬৯৪.৪ মিলিমিটার—অর্থাৎ ঘাটতি প্রায় ৩০ শতাংশেরও বেশি। তবে এই ছবির মধ্যে ব্যতিক্রম মালদা জেলা, যেখানে দক্ষিণবঙ্গের মতোই স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।