ফের বিধানসভায় উত্তেজনা। ফের সাসপেনশন। রীতিমতো মার্শাল ডেকে বের করে দেওয়া হল ৪ বিজেপি বিধায়কে। সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন বিধানসভা অধিবেশন শুরু হতেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এদিন এক বিল পেশের সময় লাগাতার স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। এমন সময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'বিধানসভায় বিরোধীরা যখন কিছু নিয়ে বলেন, শাসকদলের সদস্যরা তা চুপ করে শোনেন। কিন্তু শাসক দলের কেউ কিছু বলতে উঠলেই বিরোধীরা বাধা দেন, ওয়াক আউট করেন।'
এরপরে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ আরও বাড়তে শুরু করে। স্লোগান দিতে দিতে ওয়েলে নেমে আসেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে চার বিধায়ক – শংকর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও, দীপক বর্মন ও অগ্নিমিত্রা পলকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু না বেরিয়ে সাসপেন্ড করার বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে রীতিমতো মার্শাল ডেকে বিধায়কদের বের করা হয়। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বাধা দিলে তাঁকে বলপূর্বক বের করে দেন মার্শালরা। শঙ্কর ঘোষ দাবি করেন, ধাক্কাধাক্কির সময় তাঁর চশমা এবং ঘড়ি ভেঙে যায়।
এরপর বিধানসভার বাইরে সিঁড়িতে বসে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিধায়করা। তাঁদের হাতে ছিল 'চুপ' লেখা প্ল্যাকার্ড। বিধানসভায় তাঁদের কিছু বলতে দেওয়া হচ্ছে না, এবং বাকরূদ্ধ করা হচ্ছে বলে তাঁরা দাবি করেন। চলতে থাকে বিক্ষোভ, স্লোগান।
ঘটনার সময় বিধানসভায় ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি এসে পৌঁছন। বিধানসভার সামনে গাড়ি থেকে নেমে তাঁকে দ্রুত প্রবেশ করতে দেখা যায়।
ভিতরে ঢুকেই তিনি স্লোগানরত বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর শঙ্কর ঘোষ তাঁকে ভাঙা চশমা ও ঘড়ি দেখান। সেগুলি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে দেখাতে যান।
সব মিলিয়ে সপ্তাহের শুরুতেই ফের উত্তপ্ত হল বিধানসভা। উল্লেখ্য, সোমবার সকালেই বিধানসভায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।