West Bengal Assembly: 'চোর চোর' স্লোগানযুদ্ধে উত্তাল বিধানসভা, সাসপেন্ড শঙ্কর-সহ ৫ BJP বিধায়ক

বাংলা ভাষা নিয়ে আলোচনায় এদিন উত্তাল হয় বিধানসভা। সাসপেন্ড করা হয় চার জন বিজেপি বিধায়ককে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, মিহির গোস্বামী, অশোক দিন্দা এবং বঙ্কিম ঘোষকে সাসপেন্ড করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
'চোর চোর' স্লোগানযুদ্ধে উত্তাল বিধানসভা, সাসপেন্ড শঙ্কর-সহ ৫ BJP বিধায়কবিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ

বাংলা ভাষা নিয়ে আলোচনায় এদিন উত্তাল হয় বিধানসভা। সাসপেন্ড করা হয় চার জন বিজেপি বিধায়ককে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, মিহির গোস্বামী, অশোক দিন্দা এবং বঙ্কিম ঘোষকে সাসপেন্ড করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দেওয়ার সময়ই শোরগোল শুরু হয়। বিজেপি বিধায়কেরা প্রশ্ন তোলেন, "আমাদের বলতে দেওয়া হল না কেন?" বিধানসভার মধ্যে টেবিল চাপড়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তুমুল হট্টগোলের মধ্যে স্পিকারকে ঘিরে ধরেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। স্পিকার একাধিকবার শান্ত থাকতে বলেন। ক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে। এরপরই সাসপেন্ড করা হয় বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। মার্শালরা তাঁকে বের করে আনতে গেলে তিনি বেরোতে চাননি। শেষে ‘চ্যাংদোলা’ করে বের করেন মার্শালরা।

এ ঘটনায় বিরোধিতা করায় সাসপেন্ড হন অগ্নিমিত্রা পাল, মিহির গোস্বামী, অশোক দিন্দা ও বঙ্কিম ঘোষ। ক্রমে পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে যায়। তারা কটাক্ষ করে বলেন, "চিরকালই এদের কাজ ধ্বংসাত্মক। এরা বাংলা বিরোধী।"

স্পিকার থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারির দেন, “যদি ফের ওয়েলে নেমে বিশৃঙ্খলা করেন, তাহলে আমি নিজে অধ্যক্ষকে বলব আপনাদের সাসপেন্ড করতে।”

বৃহস্পতিবার বক্তব্যের মাঝেই মমতা বলেন, ‘আর নেই দরকার। মোদীর সরকার। মানুষ আপনাদের গদিচ্যুত করবে। বিজেপির বিধায়কদের ধিক্কার জানাই।’ ভিন রাজ্যে বাঙালিদের উপরে ‘হেনস্থা’  নিয়ে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল বৃহস্পতিবার। এই অধিবেশন শুরু হতে না হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে উঠতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার সকলকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন করেন। তা সত্ত্বেও BJP বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আসন ছেড়ে উঠে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় যে, বিজেপি বিধায়কদের বিধানসভা কক্ষের বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য মার্শালকে নির্দেশ দেন স্পিকার। এরপরই বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে বের করে দেওয়া হয়।
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement