সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে পাড়ার দেওরের সঙ্গে পালালেন দুই বউদি, তারপর? বাগদায় শোরগোল

বাগদায় কেলেঙ্কারি কাণ্ড। একই পরিবারের দুই বউয়ের সঙ্গে প্রেম করছিলেন পাড়ার ঠাকুরপো। তারপর তাঁদের নিয়ে পগাড় পার হলেন তিনি। বউয়েরাও শ্বশুর-শাশুড়িকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে দেওয়ের হাত ধরে ভাগলবা। যদিও শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যান তাঁরা। অধরা সেই প্রেমিক দেওর।

Advertisement
সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে পাড়ার দেওরের সঙ্গে পালালেন দুই বউদি, তারপর? বাগদায় শোরগোলদুই বউদি ও দেওর আরিফ মোল্লা
হাইলাইটস
  • প্রেমিক দেওরের হাত ধরে পগাড় পার দুই জা
  • একই বাড়ির দুই বউকে নিয়ে পালাল পাড়ার ঠাকুরপো
  • ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয় শ্বশুর-শাশুড়িকে


পাড়ার ঠাকুরপোর প্রেমে পাগল বাড়ির দুই বউ। আর তাই শ্বশুর-শাশুড়িকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে দেওরের সঙ্গে পগাড় পার তাঁরা। বাগদার এই ঘটনা যেন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসন্দা আরিফ মোল্লার সঙ্গে সম্প্রতি আলাপ হয়েছিল এক বাড়ির দুই জা-এর। তবে সম্পর্কটা দেওয়ার আর বউদির খুঁনসুটির সম্পর্কে আর আটকে ছিল না। ক্রমশই যুবকের প্রেমে তাঁর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন বাড়ির বউয়েরা। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি।

জানা গিয়েছে,  বাগদা ব্লকের মালিদা গ্রামের এক বাড়ির বড় বউয়ের সঙ্গে প্রথমে সম্পর্ক তৈরি করে আরিফ মোল্লা। পরে আরিফের প্রেমে পড়েন বাড়ির ছোট বউও। এরপর আরিফেরই এনে দেওয়া ঘুমের ওষুধ চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে শ্বশুর-শাশুড়িকে খাইয়ে অচেতন করে ফেলেন দুই বউ। তারপরই প্রেমিকত দেওরের সঙ্গে চম্পট দেন তাঁরা। তবে শুধু শ্বশুর-শাশুড়িই নয়, বাড়ি ছেড়ে পালানোর আগে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন তাঁদের ৩ মেয়েকেও। সন্তানদের খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই ঘুমের ওষুধ। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ওই গ্রামে।
 
পরিবারের অভিযোগ, গ্রামেরই যুবক আরিফ মোল্লার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মেলামেশা করতেন দুই বউ। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি। সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির ছোট ছেলে আনিসুর শেখ গ্যারাজের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে দেখতে পান তাঁর বাবা আহার আলি শেখ, মা দক্ষিণা শেখ ও তিন মেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে রয়েছে । বাড়িতে নেই স্ত্রী , বউদি ও এক মেয়ে। বাবা-মা ও তিন মেয়েকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। 

এরপর মঙ্গলবার সকালে জ্ঞান ফিরলে আনিসুরের বাবা-মা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় দুই বউয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল আরিফ। তাঁদের হাতে কিছু একটা দিয়েছিল সে। এরপরেই চা বানিয়ে দিয়েছিল দুই বউ। সেই চা খাওয়ার পর থেকেই তাঁরা অচেতন হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার আনিসুর বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

শাশুড়ি দক্ষিণা শেখ বলেন, 'ওরা চা খাইয়ে আমাদের অচেতন করে রেখে চলে গিয়েছে। আমি চাই আরিফের কড়া শাস্তি দেওয়া হোক।' আনিসুর শেখের বাবা আহার আলি শেখ বলেন, 'আমাদের অজ্ঞান করে রেখে দুই বউকে নিয়ে পালিয়েছে আরিফ। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমরা।'

আনিসুরের স্ত্রীর নাম নাজমা মণ্ডল। তাঁর দাদা ইয়াসিন শেখের স্ত্রীর নাম কুলচান মল্লিক। এই দুই বউকেই  ফুঁসলিয়ে আরিফ পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত আরিফ মোল্লার স্ত্রী সোনিয়া মোল্লা বলেন, 'আমি জানতাম আমার স্বামীর সঙ্গে ওদের সম্পর্ক আছে। কিন্তু একসঙ্গে দুই বউকে নিয়ে পালিয়ে যাবে ভাবিনি। আমারও একটা জীবন আছে, আমার বাচ্চাদের জীবন আছে। আমি চাই আরিফ আর ওই দুই বউয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।'

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে বাগদা থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে বাগদা থানার পুলিশ মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে এই দুই জাকে গ্রেফতার করে। আরিফ মোল্লার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বাগদা থানার পুলিশ। এখনও অধরা সে। 
 

রিপোর্টার: দীপক দেবনাথ

POST A COMMENT
Advertisement