West Bengal Bus Strike: ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি, ২২ থেকে ২৪ মে রাস্তায় নামবে না প্রাইভেট বাস?

আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ মে—টানা ৭২ ঘণ্টা ধরে কলকাতা ও আশপাশের রাস্তায় বন্ধ থাকবে বেসরকারি বাস পরিষেবা। একগুচ্ছ দাবি ও অভিযোগ নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পাঁচটি বেসরকারি বাস সংগঠন। এই ধর্মঘটের জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়তে পারেন নিত্যযাত্রীরা।

Advertisement
৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি, ২২ থেকে ২৪ মে রাস্তায় নামবে না প্রাইভেট বাস?ফাইল চিত্র।
হাইলাইটস
  • আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ মে—টানা ৭২ ঘণ্টা ধরে কলকাতা ও আশপাশের রাস্তায় বন্ধ থাকবে বেসরকারি বাস পরিষেবা।
  • একগুচ্ছ দাবি ও অভিযোগ নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পাঁচটি বেসরকারি বাস সংগঠন।

আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ মে—টানা ৭২ ঘণ্টা ধরে কলকাতা ও আশপাশের রাস্তায় বন্ধ থাকবে বেসরকারি বাস পরিষেবা। একগুচ্ছ দাবি ও অভিযোগ নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পাঁচটি বেসরকারি বাস সংগঠন। এই ধর্মঘটের জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়তে পারেন নিত্যযাত্রীরা।

কোন কোন সংগঠন অংশ নিচ্ছে?
এই ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বাস সংগঠন—

জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট (পশ্চিমবঙ্গ), বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি, ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন

কী দাবিতে ধর্মঘট?
সংগঠনগুলির প্রধান দাবি:
১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। তাঁদের মতে, কোভিড-১৯ এর সময় দু’বছর পরিষেবা প্রায় বন্ধ থাকায় বাস্তবতা মেনে এই সিদ্ধান্ত সংশোধন প্রয়োজন। পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে। অযৌক্তিক টোল ট্যাক্স আদায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিজেলের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির ফলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যান্য প্রশাসনিক সমস্যার সমাধানে ৫ দফা দাবির ভিত্তিতে তারা এই আন্দোলনে যাচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সময়সীমা
বাস মালিকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে ২০ মে’র মধ্যে তাঁদের দাবির বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন। তাঁদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, যদি ওই সময়সীমার মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে ২২ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত তিন দিন রাজ্যে বেসরকারি বাস চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।

প্রশাসনিক তৎপরতা
এই ধর্মঘটের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাজ্যের পরিবহন দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহন পরিবহণ কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও বাস সংগঠনগুলিকে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক ডাকেন। যদিও আগেও বৈঠক হয়েছে, বাস সংগঠনগুলির দাবি—সেগুলি ফলপ্রসূ হয়নি। মঙ্গলবারের বৈঠকও কোনও সমাধানসূত্র বেরোয় নি।

সাধারণ মানুষের উদ্বেগ
এই তিন দিনের ধর্মঘট হলে ভোগান্তির মুখে পড়বেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে অফিসযাত্রী, পরীক্ষার্থী এবং স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীরা। সরকারি বাস ও অন্যান্য পরিবহণের উপর চাপ বাড়বে।

 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement