Mamata Banerjee : 'আমি তো আপনাকে বলেছিলাম...,' BSF-জওয়ান ফিরতেই তাঁর স্ত্রী-কে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর

২০ দিন পর পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে ভারতে ফিরেছেন BSF জওয়ান পূর্ণম কুমার ওরফে পিকে সাউ। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরেছেন তিনি।

Advertisement
'আমি তো আপনাকে বলেছিলাম...,' BSF-জওয়ান ফিরতেই তাঁর স্ত্রী-কে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর BSF Jawan
হাইলাইটস
  • BSF জওয়ান পূর্ণম কুমার ওরফে পিকে সাউয়ের স্ত্রীকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর
  • পরিবারকে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি

২০ দিন পর পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে ভারতে ফিরেছেন BSF জওয়ান পূর্ণম কুমার ওরফে পিকে সাউ। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরেছেন তিনি। কবে স্বামী মুক্তি পাবেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন সেই জওয়ানের স্ত্রী রজনী। সেই উদ্বেগ কাটল। দেশে ফেরা মাত্র তাঁকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে রজনীকে বলেন, 'আমি তো  বলেছিলাম, আপনার স্বামী ফেরত আসবেন। যাক আজ সকালে হয়ে গেছে। খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। ভালো হয়েছে। আমরাও আশা করেছিলাম। ভগবান আপনাদের ভালো রাখুক, আপনাদের সন্তানদের ভালো রাখুন। দেখুন আমি যেখানে ধরেছিলাম সেখান থেকে ফিরে আসার জায়গা ছিল না। আমি বলেছিলাম, আপনার মন খারাপ হওয়ার কোনও কারণ নেই। উনি ভালো আছেন। আমি যখনই জানতে পেরেছি উনি ফিরেছেন, আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেছি। অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন থাকল আমার ভাইয়ের জন্য।' 

এদিকে রজনী ফোনের এক প্রান্ত থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, 'ম্যাডাম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি একাধিকবার ফোন করেছেন। আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। বলেছিলেন, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। সেটাই হয়েছে। আপনি পাশে ছিলেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান সঙ্গে ছিলেন। আপনারা আমাদের খুব সাহায্য করেছেন।' 

গত ২৩ এপ্রিল পঞ্জাবের পঠানকোটে কর্মরত অবস্থায় ভুল করে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েন পূর্ণম। তখনই পাক রেঞ্জার্স তাঁকে ধরে। বন্দী করা হয়। তাঁকে পাকিস্তান থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে বিএসএফ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সতীশচন্দ্র দুবেও ওই জওয়ানের বাড়িতে এসে তাঁর পরিবারের সদস্যদের আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফোন করে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন জওয়ানের স্ত্রী ও পরিবারের বাকি সদস্যদের। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, ওই জওয়ানকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে তিনি সমস্ত রকমের চেষ্টা করবেন। 

পাক রেঞ্জার্সের হাতে ঘরের ছেলের মুক্তির খবরে অকাল দিওয়ালি রিষড়ায়। স্বামীর মুক্তির পর রজনী বলেন, 'এই দিনটার আশার অপেক্ষা করছিলাম। অনেক ভয়, আশঙ্কা কাজ করছিল। তবে আজ সব কিছুর অবসান। সবাই আমার পাশে ছিল। স্বামী ভালোভাবে ফেরত এসেছেন। এটাই অনেক বড় পাওনা।' 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement