আরজি কর-বিক্ষোভ আবহে মন্ত্রীদের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। বাংলার শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর নানা মন্তব্য ঘিরে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। এমনকি, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'উৎসবে ফেরা' মন্তব্যও তীব্র সমালোচিত হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই পরিস্থিতিতে আরজি কর নিয়ে বাড়তি সতর্ক হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
আরজি কর নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যেই মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মমতা। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে মন্ত্রীদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আরজি কর নিয়ে মন্ত্রীদের মুখ খুলতে নিষেধ করেছেন মমতা, একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, সরকারি অবস্থান এবং বক্তব্যের মধ্যে মিল রাখতে এবং বেফাঁস মন্তব্য এড়াতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আরজি কর নিয়ে যা বলার শুধুমাত্র মমতাই বলবেন।
সম্প্রতি আরজি করের ঘটনা নিয়ে শাসকদলের বিধায়ক-নেতারা একের পর এক মন্তব্য করেছেন। যে মন্তব্যগুলি ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রীদের জন্য এই পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য।
অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন পার হলেও এখনও কর্মবিরতি চালাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান করেছেন তাঁরা। আন্দোলনের সুর ক্রমেই তীব্র হচ্ছে।
মঙ্গলবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নিজেদের হেফাজতে চাইলই না সিবিআই। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপ-সহ ৪ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর পরই সন্দীপকে ঘিরে ক্ষোভ তৈরি হয়। সন্দীপের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। শেষে কৌশিকী অমাবস্যার দিন সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তারপর থেকে সিবিআই হেফাজতে ছিলেন সন্দীপ। সন্দীপের পলিগ্রাফ পরীক্ষাও করানো হয়। অন্য দিকে, এদিনও সন্দীপকে লক্ষ্য করে 'চোর, চোর' স্লোগান দেওয়া হয়। গত সপ্তাহেও আদালত চত্বরে সন্দীপকে লক্ষ্য করে 'চোর, চোর' স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। শুধু তা নয়, সন্দীপকে সপাটে চড় কষান এক ব্যক্তি। গত মঙ্গলবার আলিপুর আদালত চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। আদালত থেকে সন্দীপকে বার করা হচ্ছিল। সেই সময়ই তাঁকে এক ব্যক্তি চড় কষান বলে অভিযোগ। সন্দীপকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালত থেকে সন্দীপকে বেরোনোর সময় তাঁকে এক ব্যক্তি চড় মারেন বলে অভিযোগ।