সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খানের প্রয়াণে শোকাহত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুর ৩টে ৪৫ মিনিটে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন রশিদ। এদিন হাসপাতালে যান মমতা। সেখানে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিরাট ক্ষতি। ওর গান আর শুনতে পাব না। খারাপ লাগছে। রশিদ আমায় বলত, তুমি আমার মা আছো। ভাবতে পারছি না রশিদ নেই। গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।' মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। আমায় ফোনে ভয়েস মেসেজ পাঠাত। বলত, দিদি তুমি কেমন আছো, আমার বাড়িতে এসো। আমার এক আপনজন হারিয়ে গেল।' বুধবার রশিদকে গান স্যালুট দিয়ে শেষ বিদায় জানানো হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ২২ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে কলকতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন রশিদ। মঙ্গলবার ভোর থেকে নতুন করে রশিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেটর সাপোর্ট। গঙ্গাসাগর সফরে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে জয়নগরে গিয়ে সভা করেন তিনি। তার পরেই নবান্ন থেকে ফিরে সোজা হাসপাতালে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, 'ছুটতে ছুটতে এসেছি।'
রশিদের প্রয়াণের খবর চিকিৎসকেরা জানানোর পরই মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালের বাইরে বলেন, 'বড় ক্ষতি। রশিদ বিশ্ববিখ্যাত নাম। নতুন করে পরিচয় দিতে হবে না। উত্তরপ্রদেশে জন্মস্থান হলেও বাংলাকে ভালবেসে বাংলায় থেকে গিয়েছে।ও আমাদের বঙ্গবিভূষণ।'
মাত্র ৫৫ বছর বয়সে প্রয়াত রশিদ। শিল্পীর অল্পবয়সে প্রয়াণ মানতে পারছেন না মমতা। তিনি বলেন, 'অল্প বয়সে চলে গেল। খুবই দু:খের। মনে প্রাণে চাইতাম ফিরে আসুক। আমি ওর পরিবারের অভিভাবক হয়ে থাকব।'
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকবে রশিদের দেহ। তার পরে শিল্পীর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে পিস ওয়ার্ল্ডে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শিল্পীর দেহ রাখা থাকবে রবীন্দ্র সদনে। সেখানে সাধারণ মানুষ শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। দুপুর ১টায় গান স্যালুট দেওয়া হবে রশিদকে।