সন্দেশখালিকাণ্ডের পর এই প্রথম বার উত্তর ২৪ পরগনায় পা রাখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, সোমবার দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন আইন বা সিএএ কার্যকর করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সিএএ লাগুর দাবি উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের মতুয়াদের একাংশের। গতকাল সেখানে উৎসবের ছবি ধরা পড়েছে। এই আবহে মঙ্গলবার হাবড়ায় প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। যা এই পর্বে আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে।
হাবড়ার সভায় সিএএ নিয়ে কোনও বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সিএএ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। মোদী সরকারকে টার্গেট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'সাহস থাকলে আগে করতেন (সিএএ)। লোকসভা ভোটের আগে কেন করতে হল? আসলে এটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা।' এরপরেই মমতা বলেন, 'এখনও নোটিফিকেশন পাইনি। আইনে কী বলা হয়েছে, পুরো রিপোর্টটা দেখার পর আগামীকাল সভা থেকে (মঙ্গলবার হাবড়ায়) সে নিয়ে ঘোষণা করব।' CAA নিয়ে মোদী সরকারকে কটাক্ষের সুরে বলেছেন, 'ছেলের হাতে মোয়া? কাউকে নাগরিকত্ব দিতে পারবে না। জাস্ট শো অফ। বলবে, আপনারা পোর্টালে নাম লেখান। তখন সব ধর্মের মানুষই নাম লেখাবেন। কিন্তু সেই নাম আদৌ কার্যকর হবে?'
প্রসঙ্গত, সিএএ নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা জানিয়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে সিএএ কার্যকর করা রাজনৈতিক দিক থেকে আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে। মঙ্গলবার হাবড়ার সভা থেকে সিএএ নিয়ে কোন সুরে আক্রমণ করেন মমতা, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
অন্য দিকে, সন্দেশখালিকাণ্ড ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। এই আবহে প্রথমবার উত্তর ২৪ পরগনায় যাচ্ছেন মমতা। মঙ্গলবারের সভা থেকে কী বার্তা দেন, তা-ও নজরে থাকবে। আবার, হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেলবন্দি। আগেই জ্যোতিপ্রিয়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা। মঙ্গলবার তাঁরই কেন্দ্রে প্রশাসনিক সভায় নতুন করে জ্যোতিপ্রিয় প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেন কিনা মুখ্যমন্ত্রী, সে দিকেও তাকিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।