Salboni Power Plant: চাকরির আশায় শালবনী, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে শুরু হচ্ছে নতুন তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প

রাজ্যে তৈরি হতে চলেছে নতুন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প। আগামী ২১ এপ্রিল শালবনীর জামবেদিয়া এলাকায় শিলন্যাস হবে দুটি ৮০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের। এর ফলে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।

Advertisement
চাকরির আশায় শালবনী, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে শুরু হচ্ছে নতুন তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প

রাজ্যে তৈরি হতে চলেছে নতুন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প। আগামী ২১ এপ্রিল শালবনীর জামবেদিয়া এলাকায় শিলন্যাস হবে দুটি ৮০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের। এর ফলে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।

২০০৮ সালে বাম আমলে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে শিল্পপতি সজ্জন জিন্দাল পাঁচ হাজার একর জমিতে ৩৫ হাজার কোটির বাজেটে এশিয়ার বৃহত্তম ইস্পাত কারখানা তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ে মাওবাদী হামলার জেরে সেই উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে অনেক চেষ্টা করেও বড় শিল্প গড়ে ওঠেনি, শুধু একটি ছোট সিমেন্ট কারখানা তৈরি হয়।

শেষ পর্যন্ত, সেই পড়ে থাকা জমিতেই এবার জেএসডব্লু কোম্পানির মাধ্যমে তৈরি হতে চলেছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে এই প্রকল্পের শিলন্যাস করবেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ এপ্রিল হেলিকপ্টারে করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শালবনীর জামবেদিয়ায় জিন্দাল কারখানা চত্বরে পৌঁছবেন। সেখানেই হবে দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলন্যাস।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিমেন্ট কারখানার শিলন্যাস করেন এবং ২০১৮-তে সেই কারখানা উৎপাদন শুরু করে। বর্তমানে সেই কারখানার কাজও বেড়েছে, পাশেই তৈরি হচ্ছে রংয়ের কারখানা। এবার সেখানে ১৬ হাজার কোটির বিনিয়োগে তৈরি হতে চলেছে দুটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

এই শিলন্যাসের পর মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে যাবেন এবং সেখানেই রাত্রিযাপন করবেন। পরদিন মেদিনীপুর কলেজ মাঠে প্রশাসনিক সভা করবেন তিনি, যেখানে আরও কিছু প্রকল্পের শিলন্যাস এবং পরিষেবা বিলির পরিকল্পনা রয়েছে।

২০০৮ সালের ২ নভেম্বর জিন্দালরা যখন প্রথম ইস্পাত কারখানার শিলন্যাস করেছিল, তখন জঙ্গলমহলের মানুষ কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণের পর। এতদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন উদ্যোগে সেই স্বপ্ন ফের জেগে উঠেছে।

স্থানীয় ল্যান্ড লুজার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক পরিষ্কার মাহাতো জানান, ‘আমরা অনেক দিন হতাশ ছিলাম। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা ছিল। অবশেষে কাজ শুরু হচ্ছে দেখে সকলেই খুশি। বহু বেকার ও জমি দাতারা এবার চাকরির সুযোগ পাবেন।’

Advertisement

জঙ্গলমহলের অন্য বাসিন্দারাও একই আশা প্রকাশ করেছেন। শালবনী আবার ফিরছে শিল্প মানচিত্রে—এটাই এখন মানুষের মধ্যে নতুন আলো জ্বালাচ্ছে।

সংবাদদাতা- শাহজাহান আলি

POST A COMMENT
Advertisement