রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৫০ শতাংশ ডিএ দিতে হবে বলে শুনানিতে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের এই কথা শুনে রাজ্যের তরফে জানানো হয় যে, এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। পরে বিচারপতি জানান, ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে। অগাস্টে ফের মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
ঠিক কী জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট?
শুক্রবার ডিএ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে বলে, ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিয়ে দিন। যা শুনে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙভি বলেন যে, এটা বিপুল পরিমাণ টাকা। এই টাকা দিতে হলে রাজ্য সরকারের কোমর ভেঙে যাবে।রাজ্যের তরফে জানানো হয় যে, এটা কোনও অধিকার নয়। সাংবিধানিক অধিকার নয়। সম্ভব নয় এটা। এর পাল্টা শীর্ষ আদালত জানায় যে, বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিতে হবেমামলার পরবর্তী শুনানির দিন অগাস্ট মাসে ধার্য করা হচ্ছে বলে জানান বিচারপতি সঞ্জয় করোল।
সরকারি কর্মীদের সুখবর
অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকারকে এখন বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫ শতাংশ দিতেই হবে। ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়বে।
প্রসঙ্গত, ডিএ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের লড়াই দীর্ঘদিনের। কেন্দ্রীয় হারে কেন সরকারি কর্মীরা ডিএ পাবেন না, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব সরকারি কর্মীরা। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল।
২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম বার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। কেন্দ্রের হারে এবং বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। ২০২২ সালের মে মাসে হাইকোর্ট কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। তবে হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ওই বছর নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। এই মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থাতেই কয়েক দফায় ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তা কেন্দ্রের সমতুল হয়নি।