ভূমি দফতরেই 'দুর্নীতির আখড়া '? হঠাত্‍ ১৮০ জন BLRO-র বদলিতে উঠছে প্রশ্ন

১৮০ জন ব্লক ল্যান্ড রেকর্ড অফিসার বা বিএলআরও এবং বেশ কয়েকজন রাজস্ব আধিকারিককে বদলি করল রাজ্য সরকার। বুধবার এই বদলির নির্দেশ এসেছে নবান্ন থেকে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের বেআইনি কাজকর্ম নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
ভূমি দফতরেই 'দুর্নীতির আখড়া '? হঠাত্‍ ১৮০ জন BLRO-র বদলিতে উঠছে প্রশ্ন১৮০ জন বিএলআরও-কে বদলি নবান্নর
হাইলাইটস
  • মোট ১৮০ জন BLRO এবং বেশ কয়েকজন রাজস্ব আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে
  • BLRO দের ১২ জুলাইয়ের মধ্যে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে

১৮০ জন ব্লক ল্যান্ড রেকর্ড অফিসার বা বিএলআরও এবং বেশ কয়েকজন রাজস্ব আধিকারিককে বদলি করল রাজ্য সরকার। বুধবার এই বদলির নির্দেশ এসেছে নবান্ন থেকে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের বেআইনি কাজকর্ম নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই এই বদলির নির্দেশ এসেছে।

নবান্নের এক আধিকারিক বলেন, বদলির উদ্দেশ্য হলদফতরে দুর্নীতি দমন করা। মোট ১৮০ জন BLRO এবং বেশ কয়েকজন রাজস্ব আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে। বদলি করা BLRO দের ১২ জুলাইয়ের মধ্যে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। তাঁরা নতুন বিভাগে যোগদান করবে। প্রয়োজনীয় নির্দেশ জেলা প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ আসছিল। একের পর এক সরকারি জমি বেআইনিভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে, যা নিয়ে পুর বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকজন আধিকারিককে ধমকও খেতে হয়। হাওড়া-সহ একাধিক পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সাফ জানান, এসব বরদাস্ত করা হবে না। টাকার বিনিময়ে বেআইনি কাজ করছে নেতা-মন্ত্রী-পুলিশের একাংশ, এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কেউ টাকা খেয়ে, কেউ খাইয়ে, একটা গ্রুপ তৈরি করে এগুলো চলছে। মানুষ যদি উন্নয়নে কাজ না পায় তাহলে পৌরসভা, পঞ্চায়েত রাখার দরকার কী। যদি উন্নয়ন না পায় তাহলে এসব রেখে কী লাভ।' হাওড়াতে বেআইনি বিল্ডিং নির্মাণ হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। জানান, 'সারা হাওড়াতে বেআইনি বিল্ডিংয়ে ভরে গেছে। হাওড়ার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। কেউ টাকা খেয়ে, কেউ টাকা খাইয়ে কাজ করছে। প্ল্যান পাস করতে গিয়ে মানুষ হয়রানির শিকার হতে হয়। অনলাইন করার পরও সেটা মানা হচ্ছে না। আমি সবাইকে বলছি। পুলিশ, জনপ্রতিনিধি সবাইকে।'

তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জমি দখলের অভিযোগে শাসকদলেরই কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোথায় কত জমি বেআইনিভাবে দখল হয়ে রয়েছে তার তালিক তৈরি করতে কলকাতা পুলিশের প্রতিটি ডিভিশনের প্রতিটি থানাকে নির্দেশও দেওয়া হয়।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement