দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহ, অস্বস্তিকর আবহাওয়ার সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। প্রধানত শুষ্ক পশ্চিমী বাতাসের কারণে তাপপ্রবাহের অবস্থা, গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই। গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া ভোগাবে। কিন্তু তার মধ্যেই রাজ্যের পাঁচ জেলায় দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
কলকাতায় এখনই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ‘ফিল লাইক’ ৪০ ডিগ্রির বেশি। বুধবার রাতেও হাসফাঁস গরম ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আজ থেকে তাপপ্রবাহ চলবে দুই মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে। শুক্রবার থেকে রোদের তেজ আরও বাড়বে। তাপপ্রবাহ চলবে দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুরা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বীরভূমে। বেলা বাড়লেই লু বইবে। বিশেষ কাজ না থাকলে দুপুর ১১টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি রাস্তায় কাউকে থাকতে নিষেধ করা হয়েছে।
বুধবার কলকাতার একাধিক জায়গার তাপমাত্রা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর -৩৭.১, সল্টলেক -৩৭.০, ব্যারাকপুর -৩৯.৮, দমদম -৩৭.৯ উলুবেরিয়া -৩৬.৫, সাগর দ্বীপপুঞ্জ -৩২.৫, ক্যানিং -৩৬.৬, ডায়মন্ড হারবার-৩৬.৮, কলাইকুণ্ড-৩৭.০, মেদিনীপুর-৩৭.৬, হলদিয়া-৩৬.১, কাঁথি-৩৬.৫, দীঘা-৩৪.০, কৃষ্ণনগর-৩৭.০, বাঁকুড়া-৩৯.৫,শ্রীনিকেতন-৩৭.২, বহরমপুর-৩৬.৮, মগরা-৩৮.২, বর্ধমান-৩৮.৪, পানাগড়-৩৯.৯, আসানসোল-৩৮.৬, ঝাড়গ্রাম-৩৮.০, পুরুলিয়া-৩৮.৭,বাগডোগরা -৩৪.৫, শিলিগুড়ি -৩৩.০, দার্জিলিং -১৯.৪, কোচবিহার -৩৩.২, জলপাইগুড়ি -৩৩.০ কালিম্পং -২৪.৫, বালুরঘাট -৩৭.০, মালদা-৩৮.০, আলিপুরদুয়ার -৩৩.০, রায়গঞ্জ -৩৬.৭
বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পানাগড়-৩৯.৯ (+৩) °সেলসিয়াস।
দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা) দক্ষিণের জেলাগুলিতে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩ দিন বাংলায় এবং পশ্চিমাঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্বাভাবিকের ওপরে থাকবে। দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-সহ পশ্চিমের এক বা দুটি জায়গায়। বাকি জেলাগুলিতে আর্দ্র এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও আর্দ্র এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে।
সম্ভাব্য প্রভাব:
১. তাপ সাধারণ মানুষের জন্য সহনীয় কিন্তু দুর্বল মানুষের জন্য মাঝারি স্বাস্থ্য উদ্বেগ যেমন শিশু, বয়স্ক, মানুষ।
২. হিট ক্র্যাম্প, ফোসকা।
যা করবেন-
১. সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ তাপের এক্সপোজার এবং বাইরের কাজ এড়িয়ে চলুন।
২. হালকা ওজনের, হালকা রঙের, ঢিলেঢালা, সুতির কাপড় পরুন। মাথা ঢেকে রাখুন। কাপড়, টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন।
৪. জলশূন্যতা এড়াতে তৃষ্ণার্ত না হলেও পর্যাপ্ত জল পান করুন।
৫. ওআরএস ব্যবহার করুন, ঘরে তৈরি পানীয় যেমন লস্যি, তোরানি (ভাতের জল), লেবুর জল, ঘোল ইত্যাদি। যা পুনরায় হাইড্রেট করতে সাহায্য করে।