গরমের জ্বালাপোড়া কমার এখনই কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং অস্বস্তি আরও বাড়বে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার থেকে আগামী চার দিন দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় লাল সতর্কতা রয়েছে। উত্তর-দক্ষিণ মিলিয়ে ১১ জেলায় থাকছে কমলা সতর্কতা। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও দুই বর্ধমান জেলায় চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে।
ফলে প্রয়োজন ছাড়া সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। অন্তত মঙ্গলবার পর্যন্ত থাকবে গরমের দাপট। সঙ্গে ১৮ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার কলকাতার তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল, ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিযাস। যা ১৯৮০ সালে কলকাতা সর্বোচ্চ তাপমাত্রার (৪১.৭ ডিগ্রি) কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। শুক্রবার তুলনামূলকভাবে কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির সামান্য কম ছিল। তবে শনিবার কলকাতার পারদ ৪২ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে যেতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি। কিন্তু এদিন দেখা গেল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কম। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। তবে জ্বলছে দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলা।
গত শুক্রবার দেশের উষ্ণতম অঞ্চল হিসাবে উঠে এসেছিল কলাইকুণ্ডা, যেখানে দিনের তাপমাত্রা ৪৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়। যা স্বাভাবিকের থেকে ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। দেশের দ্বিতীয় উষ্ণতম অঞ্চলও বাংলারই পানাগড়। পানাগড়ের তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাঁকুড়ার তাপমাত্রাও ছিল ৪৪ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। অন্তত মঙ্গলবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি খুব বেশি বদলানোর পূ্র্বাভাস নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণের আঁচ পড়েছে রাজ্যের উত্তরের জেলাগুলিতেও। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতেও গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। আবার মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কোথাও কোথাও চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। শুধুমাত্র দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।