রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পথে যে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তা আপাতত কেটে গেল। আজ, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি. আর. গবইয়ের বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। এর ফলে জয়েন্টের ফলপ্রকাশে আর কোনও বাধা থাকল না। সূত্রের খবর, এদিনই জয়েন্টের ফল প্রকাশিত হয়ে যেতে পারে।
মামলার পটভূমি
গত ৭ অগস্ট জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওবিসি সম্প্রদায় সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ফলপ্রকাশ স্থগিত হয়ে যায়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের একক বেঞ্চ মেধাতালিকা বাতিল করে নতুন করে তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর রায় অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০১০ সালের আগে চিহ্নিত ৬৬টি ওবিসি সম্প্রদায়ের ভিত্তিতেই মেধাতালিকা তৈরি করতে হবে এবং সেটি কার্যকর করতে হবে ১৫ দিনের মধ্যে।
এই নির্দেশকে রাজ্যের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় প্রথমে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, পরে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তি দেখান যে সিঙ্গল বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন, যা আইনত প্রশ্নবিদ্ধ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
শুক্রবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত মূল মামলার শুনানি চলতে থাকলেও জয়েন্টের ফলপ্রকাশে বাধা দেওয়া যাবে না। হাই কোর্টের নির্দেশে তাই আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। ফলে রাজ্যের বোর্ড এখন নির্ধারিত নিয়ম মেনে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশ করতে পারবে।
হাই কোর্টের পূর্ববর্তী অবস্থান
উল্লেখ্য, বিচারপতি চন্দ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, ওবিসি পড়ুয়াদের জন্য পূর্বের মতো ৭ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে। তবে নতুন ওবিসি তালিকা মেনে মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে না। তালিকা প্রকাশ করতে হবে ২০১০ সালের আগের স্বীকৃত ৬৬টি সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে।
সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে আপাতত রাজ্যের হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর অনিশ্চয়তা দূর হল। এখন বোর্ডের তরফে দ্রুত জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশের অপেক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা।