আরজি করের গণভেনশনে ফের 'থ্রেট কালচার'-এর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জুনিয়র চিকিৎসকদের। সদ্য গড়ে ওঠা 'ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন'-কে তুলোধনা করলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এদিকে শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই নতুন সংগঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়। একই সময়ে চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতোদের সমর্থনে 'ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফ্রন্ট'-এর সদস্যরা থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন।
জুনিয়র চিকিৎসক দেবশিস বলেন, "যারা শুধু আরজি কর নয়, প্রতিটি কলেজে শাসক দলের ছত্রছায়ায় থেকে থ্রেট সিন্ডিকেটগুলি চালায়। ভুঁইফোড় কিছু সংগঠন, এরা থ্রেট কালচারকে সমর্থন করে। এরা নতুন একটি সংগঠন করে সংবাদ বৈঠক করছেন। এরা এতদি সামনে আসনি কেন? তাঁরা আজকে নতুন সংগঠন তৈরি করে প্রেস মিট করছে। আমরা আন্দোলন আরও তীব্রভাবে চালানোর চেষ্টা করছি, আর তারা ভাবছে আন্দোলন গতি হারিয়েছে। আমাদের এই আন্দোলন এতটাই জোরদার করতে হবে যাতে থ্রেট কালচার মাথা তুলতে না পারে। আজ যদি সন্দীপ ঘোষ, আশিস পাণ্ডের মতো লোকরা না থাকত অভয়া ঘটত না।"
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফ্রন্টের বিরোধী পক্ষ ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স অ্যাসোসিয়শন গঠন নিয়ে এদিন দেবাশিস আরও বলেন, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এ ধরনের মানুষের পক্ষ নিয়েছেন। এই ধরনের লোকেরা কুণাল ঘোষের সঙ্গে মিটিং করে এসেছেন।"
হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, "আমাদের শত্রুপক্ষ নানাদিক থেকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করবে। আমরা সিজিও কমপ্লেক্স দখলের কর্মসূচী করব।"
জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, "একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে বাঁচানোর জন্য সরকার কেন এত উদগ্রীব? এই ঘটনার কী ছিল উদ্দেশ্য জানতে চাইছি। কী কারণে ক্ষোভ ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটানো হল। আমরা এখনও মনে করি একজনের পক্ষে এটি করা সম্ভব নয়। তবে চার্জশিটে কেন এখনও তা দেখতে পাচ্ছি না।"
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ আরজি কর-এর ইন্টার্ন চিকিৎসক চিকিৎসক শ্রীশ চক্রবর্তী দাবি করেছেন, "আমরা আমাদের বক্তব্য জনগণকে জানাতে চেয়েছিলাম। আমাদের বিরুদ্ধে একাধিক অন্যায় কাজ হয়েছে, যা অনেককে মানসিকভাবে প্রভাবিত করেছে। কিছু মানুষ আরজি করের নৃশংস ঘটনার সুযোগ নিয়েছে। আমরা আরজি কর-এ আন্দোলন শুরু করেছিলাম কিন্তু আমরা যেহেতু আমাদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে, তাই তদন্ত কমিটি আমাদের বহিষ্কার করেছে এবং আমাদের কাজে ফিরে যেতে বলেছে।"
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের পর থ্রেট কালচারের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই অনিকেত মাহাতো, কিঞ্জল নন্দদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পাল্টা আর একটি সংগঠন তৈরি করল জুনিয়র ডাক্তারদের অন্য একটি অংশ। তার নাম দেওয়া হয়েছে,'ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন'।