বৈশাখের শেষে কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় উষ্ণতার দাপট কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে হওয়া বৃষ্টির কারণে অনেকটাই নেমে এসেছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ফলে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন রাজ্যবাসী। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে কলকাতাসহ একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ থেকে পরবর্তী পাঁচ দিন অর্থাৎ ৭ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি হতে পারে দমকা হাওয়াও। এই ঝোড়ো হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, বৃষ্টির প্রভাব পড়তে চলেছে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পং— এই সব জেলাতেও আজ থেকে ৭ মে পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। সেই সঙ্গে হাওয়ার গতিও কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে দিনের তাপমাত্রা বিশেষ পরিবর্তন হবে না। একই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গের জন্যও। অর্থাৎ, এই সময়ে গরম যেমন থাকবে, তেমনি রাত্রের তাপমাত্রাতেও খুব বেশি ওঠানামা হবে না।
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। শহরের বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৯৬ শতাংশ এবং ন্যূনতম ৭৭ শতাংশ।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের কারণে পরবর্তী কয়েক দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। সেই কারণে নাগরিকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।