মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দেশের অন্যতম প্রিয় আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্য হল পশ্চিমবঙ্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত ইন্ডিয়া ট্যুরিজম ডেটা কম্পেনডিয়াম ২০২৫ অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করেছে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন তিনি বলেন, 'গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে পশ্চিমবঙ্গ দেশের অন্যতম প্রিয় আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্য হিসাবে সামনে এসেছে। আর এটি সত্যিই একটা দুর্দান্ত মাইলফলক, যা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।'
আর এটা যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও দাবি নয়, সেটাও জানিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজের পোস্টে লেখেন, 'ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রকের সম্প্রতি প্রকাশিত ইন্ডিয়া ট্যুরিজম ডেটা কম্পেনডিয়াম ২০২৫ জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করেছে!'
অর্থাৎ বার্তা স্পষ্ট, এক্ষেত্রে নিজের ঢাক নিজে পেটাচ্ছে না সরকার। বরং কেন্দ্রীয় সরকারই এই স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে জানিয়ে দিলেন মমতা।
কোভিডের পর নতুন রূপে সেজেছে পর্যটনকেন্দ্র
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, কোভিডের পর পর্যটনকে বাড়াতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে ধর্মীয় পর্যটন, MICE (মিটিং, ইনসেনটিভ, সম্মেলন এবং প্রদর্শনী) পর্যটন সহ পর্যটনের নতুন দিক তৈরি হয়েছে। যার ফলে বিদেশি পর্যটকরা ভারতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, 'আমি দেশি এবং বিদেশি সকল পর্যটকদের পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের সবচেয়ে মধুর অংশে ভ্রমণ করতে এবং এর সৌন্দর্য, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য অনুভব করতে স্বাগত জানাই।'
পাশাপাশি তিনি এই সম্মানের জন্য যারা পর্যটন নিয়ে সবসসময় কাজ করে চলেছেন, তাদের সকলেই ধন্যবাদ জানান।
বিরোধীরা মুখ খোলেনি
এখনও অবশ্যই এই বিষয়টা নিয়ে মুখ খোলেনি বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস কোনও পক্ষই। এখন দেখার তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবির বিরুদ্ধে ঠিক কী বলেন।
SIR নিয়ে তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি
ইতিমধ্যেই SIR নিয়ে রাজ্যের রাজনীতি উত্তপ্ত। নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপিকে এই প্রক্রিয়া নিয়ে রোজ আক্রমণ করছে তৃণমূল। আর সেই আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মমতা। তিনিই বিজেপি এবং কমিশনকে একযোগে নিশানা করছেন। রোজই কোনও না কোনও জায়গায় বক্তৃতা করে এই দুই দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তিনি।
অবশ্যই এই পরিস্থিতিতে বসে নেই বিজেপিও। তারাও মমতাকে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গী বলে দাগিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি হিন্দুদের পাশে থাকার দিয়েছেন বার্তা। যার ফলে ইতিমধ্যেই তপ্ত হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতি।