মাটির নীচে তরল সোনার হদিশ? ফের খবরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর। এই বিষয়ে একেবারে নিশ্চিত কেন্দ্রীয় সংস্থা ওএনজিসি (ONGC)। সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে কী কী খনিজ পদার্থ মজুত রয়েছে তার সন্ধান চালাচ্ছিল এই সংস্থা। সেই কাজ চলাকালীন দুই মেদিনীপুরে খনিজ তেল (Natural oil)) মজুত থাকার তথ্য উঠে আসে।
অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন বর্তমানে ভূপতিনগরে কতটা খনিজ তেল রয়েছে সেই সম্পর্কে খানিকটা আন্দাজ পাওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়াও খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে বলেও জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি রাজনৈতিক হিংসার কারণে শিরোনামে ছিল ভূপতিনগর। আর সেখানেই মিলল খনিজ তেলের সন্ধান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বদলে যেতে পারে এই এলাকার পরিস্থিতি। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে মিলেছে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান। ওএনজিসির তরফ থেকে তা উত্তোলনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে।
তবে ভূপতিনগরের ঠিক কত পরিমাণ খনিজ তেল মজুত রয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য সেখানে খুব তাড়াতাড়ি খনন কার্য শুরু করা হবে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। স্থানীয় পঞ্চায়েত, ব্লক এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গভীর রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে বিস্ফোরণ ঘটে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় রাজকুমারের বাড়ি। মৃত্যু হয় রাজকুমার-সহ ৩ জনের। বিস্ফোরণ ঘিরে জেলার রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ চড়তে থাকে।
ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শাহকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘বাংলায় বোমা তৈরিই এখন কুটিরশিল্প।’’ কিন্তু সেখানে খনিজ তেলের বড়সড় ভাণ্ডার মিললে, এলাকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্যাঙ্গারু মৃত্যুর জের, বেঙ্গল সাফারি পার্কে তীব্র অচলাবস্থা