রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের দাবিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার ভবানীভবনের সামনে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের। বিক্ষোভ সরাতে চাকরীপ্রার্থীদের উপর লাঠিচার্জ করল পুলিশ। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে একাধিকজনকে আটকও করা হয়েছে।
আজ বেলা পৌনে ১২টা থেকে পুলিশের হেডকোয়ার্টার ভবানীভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা ভবানীভবনের সামনে বসে পড়েন। চাকরীপ্রার্থীদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। না হলে তাঁরা বিক্ষোভ চালাবেন। এদিকে লাগাতার বিক্ষোভের জেরে ওই এলাকার রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। তার জেরে বিপাকে পড়েছেন পথচারীরা। \
কেন বিক্ষোভ? চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, য়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষা- ২০১৯ সাল থেকে তাঁরা সিলেক্টেড। কিন্তু, অনেকে নিয়োগপত্রও পেয়েছেন । তারপরও তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি। এই নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। অভিযোগ, রাজ্য সরকার গড়িমসি করছে। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া আটটকে আছে। সরকারের কাছে বারবার দরবার করেও লাভ হয়নি। তাঁদের হুঁশিয়ারি, যোগ্য ও সিলেক্টেডদের আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে। তবেই তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন থেকে বিরত হবেন। না হলে চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন : শুভেন্দুর দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্তে আটক পুলিশকর্তা
চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, 'দীর্ঘ ৮ মাস ধরে আমাদের নিয়োগ আটকে রাখা হয়েছে। আমরা আর কতদিন অপেক্ষা করব? সব জায়গায় নিয়োগ হচ্ছে। আমাদের কেন হবে না? প্রথম ব্যাচের নিয়োগ হলেও আমাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি ২০২১ সালে আমাদের জয়েনিংয়ের তারিখ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তারপর একটি মামলা হয়। সেই মামলা এখনও চলছে। তবে সমাধানসূত্র অধরা। এই অবস্থায় আমরা অসহায়। যে চাকরিপ্রার্থীরা পাশ করেননি, তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা চলছে। চাকরি না পেয়ে ২ জন আত্মহত্যা করেছেন।'
এদিকে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে আসরে নামেন ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া। তিনি মাইক হাতে বলেন, পুলিশের চাকরিপ্রার্থীদের কাছে এই ধরনের প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ প্রত্যাশিত নয়। বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধও করা হয়। তবে বিক্ষোভ থেকে সরেননি চাকরিপ্রার্থীরা।
পুলিশ আলোচনার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর চাকরিপ্রার্থীদের এলাকা থেকে চলে যেতে বলে। পুলিশের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, ৫ মিনিটের মধ্যে বিক্ষোভ না ওঠালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু, তারপরও পুলিশের কথায় কর্ণপাত করেননি বিক্ষোভকারীরা। তখন তাঁদের এলাকা ছাড়া করে পুলিশ। করে লাঠিচার্জও। আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে।