West Bengal Rain Forecast: টানা ভারী বৃষ্টি চলছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। যার জেরে জেলায় জেলায় বন্যার পরিস্থিতি। নদীগুলি বিপদসীমার উপরে বইছে। রবিবার সকাল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে শুধু কলকাতা ও পাশ্ববর্তী জেলাগুলিতে। এখন প্রশ্ন হল, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপের (Deep Depression) দুর্যোগ কবে কাটবে? নিম্নচাপটির গতিবিধি কী?
গভীর নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি খুব ধীরে ধীরে সরছে উত্তর-পশ্চিমে
ভারতীয় মৌসম ভবন (IMD) জানাচ্ছে, সাগরে তৈরি হওয়া এই গভীর নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি খুব ধীরে ধীরে সরছে উত্তর-পশ্চিমে। এই মুহূর্তে বাঁকুড়া থেকে ৫০ কিমি দক্ষিণে, ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর থেকে ৯০ কিমি পূর্বে ও রাঁচি থেকে ১৯০ কিমি পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। IMD আজ অর্থাত্ সোমবার সকালের বুলেটিনে জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আগামী ১২ ঘণ্টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে খুব ধীর গতিতে সরছে ও আগামী ১২ ঘণ্টা অতি গভীর নিম্নচাপটি আরও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আজ অর্থাত্ সোমবার কলকাতায় তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬.৬ ডিগ্রি কম।
Special Bulletin: 08 :Deep Depression over Gangetic West Bengal pic.twitter.com/woJs0gp4B4
আরও পড়ুন
— IMD Kolkata (@ImdKolkata) September 15, 2024
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা
IMD-র পূর্বাভাস, নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি এরপর ঝাড়খণ্ড ও ছত্তীসগড়ের উত্তর দিকে সরতে থাকবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত মেঘলা আকাশ ও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবারও গাঙ্গেয় বঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। টানা বর্ষণে বহু এলাকা জলমগ্ন। বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানে মাটির বাড়ি ভেঙে ও জলে ডুবে মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ কাকদ্বীপ ও ডায়মন্ড হারবারের তিনটি ট্রলার।
প্রচুর জল ছাড়ছে ডিভিসি
অন্যদিকে নিম্নচাপ ও ভারী বৃষ্টির জেরে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে বন্যার পরিস্থিতি। জল ছাড়ছে ডিভিসি। ডিভিসি সূত্রে খবর, রবিবার মাইথন থেকে প্রায় ৬ হাজার কিউসেক ও পাঞ্চেত থেকে প্রায় ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে রবিবার সন্ধ্যায় ৫১,৪০০ কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। ফলে পশ্চিমের জেলাগুলিতে বন্যার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা।