১৯ হাজার নিয়োগ বৈধ। এই প্রথমবার আদালতে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট করে কত জনের নিয়োগ বৈধ, তা জানাল SSC। চাকরিহারাদের মামলায় এটি যে নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, তা বলা যেতেই পারে।
SSC-র উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্ট বলে, RTI-এর উত্তর দেওয়ার সময় আপনারা বলছিলেন, আপনাদের নিজেদের ডেটা থেকেই তথ্য নিয়েছিলেন। এখন দেখা যাচ্ছে আপনাদের কাছে কোনও ডেটাই নেই। প্রধান বিচারপতি এরপর আরও বলেন, ডেটার উপর আপনাদের নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা। যদি ডেটা না-ই থাকে, তাহলে এই সমস্ত নিয়োগ বাতিল হওয়া উচিত। এর উত্তরে SSC জানায়, '১৯ হাজার নিয়োগ বৈধ।' এই প্রথম আদালতে দাঁড়িয়ে SSC নির্দিষ্ট করে জানাল কত জনের নিয়োগ বৈধ। এর আগে প্রতিবার সওয়াল-জবাবে এসএসসি জানিয়েছে কত জনের নিয়োগ অবৈধ। কিন্তু যখন তাদের প্রশ্ন করা হয়েছে কতজনের নিয়োগ বৈধ, সেই তথ্য কিন্তু এসএসসি দিতে পারেন।
তবে এই প্রথমবার স্পষ্ট করে ১৯ হাজার বৈধ নিয়োগের পরিসংখ্যান দিল এসএসসি। এই ১৯ হাজারের নিয়োগ নিয়ম মেনে, মেধা তালিকা অনুযায়ী হয়েছে বলে এসএসসি দাবি করেছে সুপ্রিম কোর্টে।
এদিন সুপার নিউমেরারি পোস্ট নিয়ে রাজ্য-কমিশনের মধ্যে কার্যত দায় ঠেলাঠেলি হয় সুপ্রিম কোর্টে। সরকার কেন ২০২২ সালে অতিরিক্ত পদ তৈরি করল, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। এদিকে রাজ্যের দাবি, আদালতকে এড়িয়ে কিছু করা হয়নি। সুপার নিউমেরারি পোস্টের প্রস্তাব দিয়েছিল SSC। রাজ্য মন্ত্রিসভা তাতে অনুমোদন দিয়েছিল মাত্র। সুপার নিউমেরারি পদের প্রয়োগ হয়নি, আদালতে জানাল রাজ্য।
সুপ্রিম কোর্ট এরপর জানতে চায়, SSC-র কাছে OMR শিটের স্ক্যান নেই কেন? এসএসসি দাবি করে, OMR পরীক্ষার জন্য নাইসা অন্য সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানতে চায়, OMR পরীক্ষার জন্য আদৌ টেন্ডার ডাকা হয়েছিল? SSC জানায় ৪টি সংস্থা টেন্ডারে অংশ নিয়েছিল।
SSC-র ২০১৬-র নিয়োগের গোটা প্যানেল বাতিলের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকারের আবেদনের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মামলার শুনানি করছে। প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারার মধ্যে 'যোগ্য-অযোগ্য' আলাদা করা হবে কীভাবে? সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয় কিনা, সেদিকে নজর সবার।