নিম্নচাপ ও মৌসুমি অক্ষরেখার সক্রিয়তার কারণে টানা বৃষ্টিতে ভিজছে গোটা রাজ্য। মঙ্গলবারের পর বুধবারও একাধিক জেলায় বৃষ্টি অব্যাহত, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতাতেও বৃষ্টি চলছে। সোমবার রাত ২টো থেকে মঙ্গলবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত মানিকতলায় ১০২ মিমি এবং কালীঘাটে ৬৮.১০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এদিন দুপুরের বুলেটিন অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর নিম্নচাপটি অবস্থান করছে এবং এর সঙ্গে যুক্ত ঘূর্ণিঝড়টি ৭.৬ কিমি উচ্চতায় বিস্তৃত। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। মৌসুমি অক্ষরেখাও এখন প্রয়াগরাজ, ডালটনগঞ্জ হয়ে নিম্নচাপ কেন্দ্রের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ফলে এর প্রভাবে বৃষ্টির গতি এখনই থামছে না।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম বর্ধমানে বুধবারের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি মোট সাতটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টির জেরে শিলাবতী ও কংসাবতীর জলস্তর বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিভিসি-র জল ছাড়ার সম্ভাবনাও বেড়েছে। সেই জলে প্লাবনের আশঙ্কা হাওড়া ও হুগলির মতো নীচু এলাকায়। জল জমে ভোগান্তি বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন প্রশাসনিক মহল।
তবে এক চিলতে আশার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে বৃহস্পতিবার থেকে, বলছেন আলিপুরের আবহাওয়াবিদরা। যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যে নিম্নচাপ এবং মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তায় আপাতত বৃষ্টি থেকে স্বস্তির কোনও সম্ভাবনাই নেই।