সকাল থেকে রোদ ঝলমলেই ছিল কলকাতার আকাশ। কিন্তু বেলা গড়াতেই মেঘলা হয়ে এল। নামব বৃষ্টি। মুখ ভার ঠাকুর দেখতে বেরোনো লোকজনের। পঞ্চমীর দিন কলকাতা-সহ বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে উৎসবমুখী মানুষদের মধ্যে একটু চিন্তা দেখা দিয়েছে।
বৃষ্টির পূর্বাভাস
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পঞ্চমীর দিন রাজ্যের চারটি জেলায় বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, এবং বাঁকুড়ার কিছু অংশেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, তবে ভারী বৃষ্টির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে, এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
পঞ্চমী থেকে দশমী: বৃষ্টির কি সম্ভাবনা?
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পুজোর বাকি দিনগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশ কম। পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত রাজ্যের আবহাওয়া মোটামুটি মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে, কিন্তু বৃষ্টি হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। তবে পুজোর শেষ দিনগুলোতে, অর্থাৎ শনিবারের পর থেকে আবহাওয়ায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর, তবে ততদিনে তো পুজোর বেশিরভাগ অংশই শেষ হয়ে যাবে।
উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি
দক্ষিণবঙ্গের মতো, উত্তরবঙ্গেরও বেশিরভাগ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙের কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে, তবে ধসের আশঙ্কা নেই। পার্বত্য এলাকাগুলিতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণ
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দুর্গা পুজোর ষষ্ঠীর আগেই নিম্নচাপের কারণে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। তবে কলকাতা এবং অন্যান্য জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপের সৃষ্টি এবং উত্তর বাংলাদেশ ও উত্তরবঙ্গের সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্তের উপস্থিতি।
বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে যে ঘূর্ণাবর্ত ছিল, তা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। এছাড়া ঝাড়খণ্ড থেকে মণিপুর পর্যন্ত একটি অক্ষরেখার উপস্থিতি এবং দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তর তামিলনাড়ুর উপকূল অঞ্চলে আরও একটি ঘূর্ণাবর্তের কারণে আবহাওয়ায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি, পাঞ্জাবের পশ্চিমী ঝঞ্ঝারও প্রভাব রয়েছে।
তবে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আপাতত নেই। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে, যা উৎসবের আনন্দে খুব একটা ব্যাঘাত ঘটাবে না। তাই চিন্তা ছেড়ে পুজোর আনন্দে মেতে উঠুন, তবে ছাতা নিতে ভুলবেন না!