টানা কয়েক দিন ধরে কালবৈশাখীর কারণে দক্ষিণবঙ্গে গরম তুলনামূলক কম। বেলা গড়ালে গরম বৃদ্ধি পেলেও রাতের আবহাওয়া স্বস্তিদায়ক। তবে সেই স্বস্তি আর বেশি দিন নেই। বুধবারো কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরেই হাওয়াবদল!
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ফিরছে বৈশাখের সেই চেনা গরম। বেশ কয়েক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও গরমের কারণে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। তবে উত্তরে ঝড়বৃষ্টি আপাতত চলবে।
হাওয়া অফিস বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রার হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তার পরের দু’দিন ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকবে বলে পূর্বাভাস। সঙ্গে ভোগাবে আর্দ্রতা।
উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকতে পারে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকতে পারে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ। দক্ষিণের বাকি জেলায় আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ থাকতে পারে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা বায়ু এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর কারণেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে।
মঙ্গলবার দক্ষিণের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়েরও সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিস বলছে, এক দিন পরে বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলায় আবহাওয়া থাকবে গরম।
দক্ষিণের সব জেলাতেই ওই দিন গরমের জন্য জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। শুক্র এবং শনিবার পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। সেখানে দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়াতে পারে। দক্ষিণের বাকি জেলাতেও ওই দু’দিন অস্বস্তিকর গরমের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আট জেলাতেই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা। পাহাড়ি জেলাগুলিতে আগামী সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে সপ্তাহান্তে আবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সতর্কতা জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।