কুয়াশাঘেরা ব্রিজ।-ফাইল ছবিউত্তুরে হাওয়ার দাপটে হিমশীতল পরিস্থিতি গোটা রাজ্য জুড়ে। বছরের শেষ দিনে দার্জিলিঙে তাপমাত্রা নেমে গেল মাত্র ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হাড়কাঁপানো এই ঠান্ডায় জবুথবু উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, সব জেলা। দার্জিলিঙে তুষারপাতের পূর্বাভাসও জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সতর্কতা
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দার্জিলিঙে হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দৃশ্যমানতা নেমে আসতে পারে ১৯৯ মিটার থেকে মাত্র ৫০ মিটার পর্যন্ত।
আগামী চার দিন উত্তরবঙ্গে রাতের তাপমাত্রায় বড় কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে তার পরের তিন দিনে পারদ আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
দক্ষিণবঙ্গেও হিমেল হাওয়ার কামড়
দার্জিলিঙে রাজ্যের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও, ঠান্ডার লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই দক্ষিণবঙ্গও। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের শীতলতম শহর ছিল বীরভূমের শ্রীনিকেতন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ছাড়া, নদিয়ার কল্যাণী: ৭ ডিগ্রি
সিউড়ি: ৭.২ ডিগ্রি
আসানসোল: ৭.৮ ডিগ্রি
বাঁকুড়া ও বর্ধমান: ৮ ডিগ্রি
উলুবেড়িয়া, বহরমপুর, ক্যানিং, মগড়া, কলাইকুণ্ডা, পানাগড়, ব্যারাকপুর, ঝাড়গ্রাম, দিঘা, ডায়মন্ড হারবার, কাঁথি, পুরুলিয়া ও বসিরহাট-সহ একাধিক জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
কুয়াশার দাপট
উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
কলকাতায় মরসুমের শীতলতম দিন
কলকাতায় বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মরসুমের শীতলতম। দমদমে পারদ নেমেছিল ১০ ডিগ্রিতে, সল্টলেকে ১১.৪ এবং হলদিয়ায় ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা
দার্জিলিঙের পর উত্তরবঙ্গে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে
কালিম্পং: ৮.৩ ডিগ্রি
মালদহ: ৯.৫ ডিগ্রি
কোচবিহার: ১০ ডিগ্রি
জলপাইগুড়ি: ১১.২ ডিগ্রি
আগামী দিনের পূর্বাভাস
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রায় বড় পরিবর্তন হবে না। তার পরের তিন দিনে পারদ ২-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে। পরে আবার রাতের তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকবে।