West Bengal Weather Update: ফের ঘূর্ণাবর্ত! অক্টোবরেও বৃষ্টি, কালীপুজোতেও দুর্যোগের আশঙ্কা?

অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও রাজ্য থেকে বর্ষার রেশ কাটছে না। সকাল থেকে রাত মেঘলা আকাশ। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি। আর তাতে রাস্তাঘাটে জল জমে যাচ্ছে বারবার। বর্ষা বিদায় নেওয়ার কথা অনেক আগেই। কিন্তু শহরবাসীর কাছে এখনও জুলাই–অগাস্টের মতোই লাগছে এই সময়টা।

Advertisement
ফের ঘূর্ণাবর্ত! অক্টোবরেও বৃষ্টি, কালীপুজোতেও দুর্যোগের আশঙ্কা? কালীপুজোর আগের আবহাওয়া।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও রাজ্য থেকে বর্ষার রেশ কাটছে না।
  • সকাল থেকে রাত মেঘলা আকাশ।

অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও রাজ্য থেকে বর্ষার রেশ কাটছে না। সকাল থেকে রাত মেঘলা আকাশ। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি। আর তাতে রাস্তাঘাটে জল জমে যাচ্ছে বারবার। বর্ষা বিদায় নেওয়ার কথা অনেক আগেই। কিন্তু শহরবাসীর কাছে এখনও জুলাই–অগাস্টের মতোই লাগছে এই সময়টা।

বুধবার সকালে রোদ্দুরের একঝলক দেখা মিললেও দিনের বাকি সময় মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টি হয়েছে। ভারী না হলেও বৃষ্টি থামছিল না, ফলে যানজটে নাকাল হয় সাধারণ মানুষ। তারাতলা থেকে এসপ্ল্যানেডের ৯ কিলোমিটার ট্যাক্সি যাত্রা পেরোতে সময় লেগেছে প্রায় এক ঘণ্টা। যা স্বাভাবিক সময়ের দ্বিগুণ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আকাশে রোদ থাকলেও, তা কতক্ষণ স্থায়ী হবে, তা নিয়ে চিন্তায় অনেকেই। কারণ শুক্রবার থেকে ফের একটি নতুন ঘূর্ণাবর্ত দানা বাঁধার সম্ভাবনা। ফলে শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার ৭ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে ভারী বৃষ্টির সতকর্তা নেই। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি কমবে।

এই অকালবৃষ্টিতে দীপাবলি ও কালীপুজোর আগে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। কলকাতার এলাকার এক বাজি ব্যবসায়ী বলেন, 'যদি বৃষ্টি না কমে, তাহলে বাজি তৈরির কাজ ব্যাহত হবে। উৎপাদন প্রক্রিয়া পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।'
মঙ্গলবার সন্ধে থেকে বুধবার সন্ধে পর্যন্ত আলিপুর আবহাওয়া দফতর ১৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। টানা মেঘলা আকাশ তাপমাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪° সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৩° কম।

আবহাওয়া দফতরের মতে, এই বৃষ্টিপাতের মূল কারণ দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় সক্রিয় একটি উচ্চ-বাতাসের ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালন, যা বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ০.৯ কিলোমিটার উপরে অবস্থান করছে। এছাড়াও, ১০ অক্টোবর উত্তর বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালন তৈরি হতে পারে, যদিও তার সরাসরি প্রভাব কলকাতায় পড়বে না বলে জানিয়েছেন এক আবহাওয়া কর্মকর্তা।

তবে স্বস্তির খবর, বৃহস্পতিবার থেকে আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে। কিন্তু আগামী দুই থেকে তিন দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। দিনের বেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শুক্রবার বজ্রপাতের আশঙ্কাও রয়েছে।
এদিকে তামিলনাড়ু উপকূলের দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া আলাদা একটি ঘূর্ণাবর্ত ইতিমধ্যেই দুর্বল হয়েছে। কর্নাটক উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপটিও ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে।

Advertisement

পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ইতিমধ্যেই বিদায় নিতে শুরু করেছে। কিন্তু পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রে এখনও সেই রেখা অনেক দূরে, ফলে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement