বঙ্গে ঢুকে গেল বর্ষা। কালই সাব-হিমালয়ান সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে বর্ষা ঢুকেছে, জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। যে কারণে ওপরের পাঁচটি জেলা সহ দক্ষিণ দিনাজপুরেও ঢুকেছে বর্ষা। তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা কবে ঢোকে এখন তাই দেখার। এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। আর কত চলবে? দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসবে কবে?
টানা এক সপ্তাহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
গতকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে বঙ্গে। আজ থেকে ৫ জুন পর্যন্ত স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হবে। তবে দক্ষিণবঙ্গে এটি বর্ষার বৃষ্টি নয়। আগামী এক সপ্তাহে প্রতিটি জেলায় তুমুল বৃষ্টিপাত হবে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
উত্তরবঙ্গে ঢুকেই আগামী তিন দিন দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। ফলে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। একই সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কী পরিস্থিতি?
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে উত্তাল সমুদ্র। সুন্দরবন ও দিঘার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে। আজ, শুক্রবার ঝড়বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। উপকূলের সব জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
৩০-মে কোথায় কোথায় বৃষ্টি?
৩০ মে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলার এক বা দুটি স্থানে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বজ্রপাত, বিদ্যুৎ চমকানো এবং ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় জেলার বাকি এক বা দুটি স্থানে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।