উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে ঢুকছে ঘন জলীয়বাষ্প। ফলে বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, পরবর্তী কয়েক দিনে সেই বৃষ্টির দফায় দফায় দাপট বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বর্তমানে দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর যে ঘূর্ণাবর্ত ছিল, সেটি কিছুটা উত্তর-পশ্চিমে সরে এসে এখন বঙ্গোপসাগরের ওপর ৩.১ থেকে ৭.৬ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই ঘূর্ণাবর্তটি উচ্চতার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হেলে রয়েছে, যা বর্ষার অগ্রগতির পক্ষে সহায়ক।
এ ছাড়াও, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি আর একটি ঘূর্ণাবর্ত ৫.৮ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করছে। সেটিও আগের ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বৃষ্টি বৃদ্ধিতে ভূমিকা নিচ্ছে।
অন্য দিকে, গতকালের ঘূর্ণাবর্তটি পূর্ব মধ্যপ্রদেশ থেকে ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে। সেটিও প্রায় ১.৫ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এই তিনটি ঘূর্ণাবর্ত মিলেই রাজ্যে বর্ষার সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৌসুমি বায়ু ওড়িশার আরও কিছু অংশে প্রবেশ করবে। পরবর্তী ৩ দিনে তা ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের আরও বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঢুকবে বলে পূর্বাভাস।
এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বেশি হতে পারে।