নিম্নচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায়। উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় গভীর নিম্নচাপ পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এরপর ৩ তারিখ নাগাদ এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ২৯ নভেম্বরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপে ঘনীভূত হতে পারে। তারপর এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় আরও ঘনীভূত হতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গে কী প্রভাব-
দক্ষিণ ২৪ পরগণার ওপরে ৪ তারিখ সকালে এটা গিয়ে পৌঁছবে উত্তর তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি। এর প্রভাব বাংলায় পড়বে কিনা তা এখনও জানায়নি আলিপুর আবহাওয়া অফিস। ফলে আগামী ৩ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে কোথাও কোনও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ৪ তারিখ পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। এই মুহূর্তে কোনও সতর্কবার্তা নেই।
এই সময়ে প্রচুর মেঘ পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে। যার ফলে নতুন করে তাপমাত্রার পতনের কোনও সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ৪ তারিখ পর্যন্ত শীতের কোনও প্রভাব নেই। তবে প্রচুর পরিমাণে মেঘ ঢুকলে তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি বাড়লেও বাড়তে পারে।
নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত ঠান্ডা পরেনি। হাওয়া অফিস ইঙ্গিত দিয়েছিল, এ বছর তাড়াতাড়ি শীত পড়ার আশা নেই, নভেম্বর গরমই থাকবে। সেরকমই নভেম্বরের শেষেও বেলার দিকে রোদের তাপে গরম লাগছে।