NOTIFICATIONS
6th Oct
বৃষ্টির পূর্বাভাস।-সংগৃহীত ছবি 
দু’সপ্তাহ আগে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়েছিল, বিশেষ করে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার ফলে। এখনও বহু এলাকায় জল জমে রয়েছে। এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা বুধ থেকে দক্ষিণবঙ্গে ফের বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি বয়ে আনতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে। ইতিমধ্যেই মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে, যার ফলেই নতুন নিম্নচাপের সৃষ্টি হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃষ্টি ও ঝড়ের পূর্বাভাস
ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপের মিলিত প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া এবং পূর্ব বর্ধমান বাদ দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে বুধবার ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সময় দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এছাড়াও, অন্যান্য জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও আগামী কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতার আবহাওয়া
মঙ্গলবার সারাদিন কলকাতার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে এবং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে।
আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্য
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম-মধ্য এবং দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় দুটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে। এছাড়াও মৌসুমি অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে। একই সঙ্গে, অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল পর্যন্ত একটি দীর্ঘ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে, যা এই আবহাওয়ার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে।
