ধুয়ে মুছে সাফ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। চতুর্দিকে ধ্বংসের চিহ্ন। দুর্যোগের দাপট খানিকটা কমলেও এখনও বৃষ্টি চলছে দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায়। আর তাই উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ধসের পর ধীরে ধীরে রাস্তা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে যাতে পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করা যায়। এদিকে অসংখ্য ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে জলের তোরে। নদীগুলিতে এখনও জলস্তর বেশি। প্রচুর মানুষ গৃহহীন হয়ে আশ্রয়স্থলে রয়েছেন। বন্ধ স্কুল, কলেজ, দোকানপাট। সকলেরই প্রশ্ন আবহাওয়া কবে স্বাভাবিক হবে? কবে ছন্দে ফিরবে পাহাড়।
কেমন থাকবে আবহাওয়া?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, মঙ্গলবারও দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গল এবং বুধ, দু'দিনই বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হবে এই জেলাগুলিতে। তবে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা সেভাবে নেই।
কবে কমবে বৃষ্টি?
হাওয়া অফিস কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর দিয়েছে উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য। জানা যাচ্ছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি থামতে চলেছে পাহাড়ে। রবিবারের মধ্যে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণরূপেই বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসবে পাহাড়ের সমস্ত জেলাগুলিতেই।
দক্ষিণবঙ্গে কেমন থাকবে আবহাওয়া?
মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। তালিকায় রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়া। তালিকায় রয়েছে কলকাতাও। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
বুধবারও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে।
বৃহস্পতি থেকে শনিবারের মধ্যে বৃষ্টি কমবে। কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর রবিবারের পর থেকে বৃষ্টি কমবে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই।
তবে বৃষ্টি কমলেও রোদের দেখা মিলবে এমন সম্ভাবনাও ক্ষীণ। মূলত মেঘলা আকাশই দেখা যাবে সর্বত্র। বর্ষা বিদায় নিয়েও এখনও পর্যন্ত কোনও আভাস দেয়নি হাওয়া অফিস।