Potato Late Blight: আলুতে ধসা ধরলে কী করবেন? জানুন কৃষি বিজ্ঞানীর টিপস

ঠান্ডা কমে যাওয়া, ঘন কুয়াশার কারণে শীতের অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। জানুয়ারি মাসে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও কুয়াশা, তাপমাত্রার ওঠানামা এবং উচ্চ আর্দ্রতার কারণে আলুরও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

Advertisement
আলুতে ধসা ধরলে কী করবেন? জানুন কৃষি বিজ্ঞানীর টিপস আলুতে ধসা ধরলে কী করবেন? জানুন কৃষি বিজ্ঞানীর টিপস
হাইলাইটস
  • লেট ব্লাইট বা নাবি ধসা রোগ ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারি মাসে হতে পারে
  • লেট ব্লাইট আলু ফসলের জন্য বেশি ক্ষতিকর

ঠান্ডা কমে যাওয়া, ঘন কুয়াশার কারণে শীতের অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। জানুয়ারি মাসে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও কুয়াশা, তাপমাত্রার ওঠানামা এবং উচ্চ আর্দ্রতার কারণে আলুরও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। আবহাওয়া খামখেয়ালিতে আলুতে নাবি ধসা রোগ ধরতে পারে। রোগ ছড়িয়ে পড়লে অল্প সময়ের মধ্যে পুরো ফসলই নষ্ট হয়ে যায়। আলুতে এ রোগের সময়মত নিয়ন্ত্রণ করে কৃষকরা ক্ষতি এড়াতে পারেন।

লেট ব্লাইট বা নাবি ধসা রোগ ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারি মাসে হতে পারে। লেট ব্লাইট আলু ফসলের জন্য বেশি ক্ষতিকর। এই রোগের কারণে আলুর পাতা ঝলসে যায়। পরে পুরো গাছটি ঝলসে যায়। গাছে কালো দাগ দেখা যায়, যা পরে বড় হয়। যার কারণে আলুও বাড়ে না। কুয়াশা ও আর্দ্রতার এই রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কয়েকদিনের মধ্যেই ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।

প্রতিকার

কৃষকরা MANCOZEB 75% WG নামক ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। এই ওষুধটি নাবি ধসা রোগের জন্য একটি প্রতিষেধক। কৃষকরা এটি প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম পরিমাণে মিশিয়ে আলু গাছে স্প্রে করতে পারেন। একই ছত্রাকনাশক বারবার স্প্রে করবেন না। ছত্রাকনাশক স্প্রে করার সময় গাছের নীচ থেকে উপরে স্প্রে করা উচিত, যাতে ছত্রাকনাশক গাছে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায়। ধসার ওষুধের সঙ্গে আঠা মিশিয়ে নিতে হবে। স্প্রে মেশিনের নজেলের মুখ এমন রাখতে হবে যাতে গাছের পাতা ও নীচে সমানভাবে ওষুধ লাগে।

এছাড়াও, ২ মিলিগ্রাম নিম তেল ১ লিটার জলে মিশিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে স্প্রে করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে কৃষকরা আলু ফসলকে ব্লাইট রোগ থেকে বাঁচাতে পারবেন। আপনি দুটি পদ্ধতির যে কোনও একটি ব্যবহার করতে পারেন।

নাবি ধসার লক্ষণ

লেট ব্লাইট বা নাবি ধসা রোগ আলু ফসলের একটি প্রধান রোগ। পাতায় ছোট ডিম্বাকৃতি বাদামি দাগ দেখা যায়। ধীরে ধীরে এর প্রভাব পাতা ও কাণ্ড উভয় ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান হয়। পাতা, কাণ্ডে রোগের ঝুঁকি থাকে। যখন ঠান্ডা কম থাকে, ঘন কুয়াশা পড়ে বা আকাশে মেঘ থাকে তখন এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।

Advertisement

আচমকা উধাও শীতের আমেজ। শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির ঘরে। যার ফলে ঠান্ডা ভাব ক্রমশ ফিকে হচ্ছে। তবে রাত গড়ালেই আবহাওয়ার বদল ঘটবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার থেকেই তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ফলে কিছুটা ছন্দে ফিরবে শীত। অন্য দিকে, রাজ্যের ২ জেলায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৩ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি করে কমবে। আগামী ৩ দিনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি করে নামবে। তারপরে ২ দিনে ফের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি করে বাড়বে।

POST A COMMENT
Advertisement