বাংলায় মকর সংক্রান্তি মানেই শীতের তীব্রতা। তবে এবছর সেই চেনা কনকনে ঠান্ডা যেন হারিয়ে গেছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শীত তার লুকোচুরি খেলায় ব্যস্ত। মাসের শুরুর দিকে ঠান্ডার অভাব স্পষ্ট থাকলেও এখন উত্তরে হাওয়ার ছোঁয়া সামান্য শীতের আভাস দিচ্ছে।
তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি:
আজ সংক্রান্তির দিন রাজ্যের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৩ ডিগ্রি বেশি। রাতের তাপমাত্রাও একইভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
জোড়া ঝঞ্ঝার প্রভাব:
হাওয়া অফিসের মতে, জোড়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার ফলে গ্রামীণ জেলাগুলিতেও শীতের প্রকোপ অনেকটাই কম।
সংক্রান্তির উষ্ণতম দিনগুলোর মধ্যে একটি:
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১২ বছরের মধ্যে এ বছরের সংক্রান্তি তৃতীয় উষ্ণতম। ২০২১ সালে সংক্রান্তির দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২২ সালে তা ১৮.২ ডিগ্রি, এবং ২০২৩ সালে ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পরবর্তী শৈত্যপ্রবাহ কবে?
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৮ জানুয়ারির পর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। তবে তা যথেষ্ট হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
শীত কি শুধুই স্মৃতি?
বছরের পর বছর সংক্রান্তির শীতের তীব্রতা কমতে থাকা জলবায়ু পরিবর্তনের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে, হয়তো সংক্রান্তির শীত একদিন মিথ হয়ে উঠবে।