GDB Survey: পথ দুর্ঘটনায় সাহায্য করতে কি এগিয়ে আসেন বাংলার মানুষ? সমীক্ষা যা বলছে

রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণাৎ সাহায্যের করতে এগিয়ে আসায় সর্বোচ্চ স্থানাধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গবাসী। যেখানে পুরো দেশে ৮৮% মানুষ দুর্ঘটনার সময় পুলিশ বা অ্যাম্বুলেন্সে কল করতে প্রস্তুত। পশ্চিমবঙ্গের সর্বাধিক (৯৯%) মানুষ যে কোনও মূল্যে সাহায্যের জন্য সম্মত হয়েছেন। যেখানে ওড়িশার মাত্র ৭৮% মানুষ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে প্রস্তুত। ওড়িশা রয়েছে একদম তলানিতে।

Advertisement
পথ দুর্ঘটনায় সাহায্য করতে কি এগিয়ে আসেন বাংলার মানুষ? সমীক্ষা যা বলছেপথ দুর্ঘটনায় এগিয়ে কারা

রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণাৎ সাহায্যের করতে এগিয়ে আসায় সর্বোচ্চ স্থানাধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গবাসী। যেখানে পুরো দেশে ৮৮% মানুষ দুর্ঘটনার সময় পুলিশ বা অ্যাম্বুলেন্সে কল করতে প্রস্তুত। পশ্চিমবঙ্গের সর্বাধিক (৯৯%) মানুষ যে কোনও মূল্যে সাহায্যের জন্য সম্মত হয়েছেন। যেখানে ওড়িশার মাত্র ৭৮% মানুষ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে প্রস্তুত। ওড়িশা রয়েছে একদম তলানিতে।

পথ দুর্ঘটনা সম্পর্কিত সমীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতে, প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী দীপঙ্কর গুপ্ত বলেছে, যদি ৮৮ শতাংশ মানুষ সত্যিই দুর্ঘটনার পর সাহায্য করত এগিয়ে আসতে প্রস্তুত হয়, তবে কেন পরিবহণ মন্ত্রক রিপোর্ট করল যে ৫০ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে সময়মতো চিকিৎসা সেবা না দেওয়ায়? অর্থাৎ মানুষ সাহায্য করার কথা বলছে, কিন্তু তারা আসলে কতটা সাহায্য করছে সেটা ভিন্ন বিষয়।

নাগরিক বৈষম্য, লিঙ্গ, ব্যবহার, শিষ্টাচার নিয়ে দেশে পরিচালিত সমীক্ষা সম্পর্কে সুপরিচিত সমাজবিজ্ঞানী দীপঙ্কর গুপ্ত বলেছেন যে এই সমীক্ষা থেকে দুটি বিশেষ ফলাফল বেরিয়ে আসে। এক, দেশের অধিকাংশ মানুষ জানে কোনটা সঠিক কিন্তু তারা তা মানে না। দ্বিতীয়ত, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি, বিশেষ করে কেরালা, সামাজিক সচেতনতার দিক থেকে উত্তরের থেকে কয়েকগুণ এগিয়ে৷ এর অনেক দিক রয়েছে যা বিস্তৃত পরিসর তৈরি করে। এর মধ্যে রয়েছে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি, ধর্মীয় সহনশীলতা, তামাকের উপর নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবেশীর নিরাপত্তা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, লিঙ্গ সমতার সচেতনতা।

গ্রস ডোমেস্টিক বিহেভিয়ার সমীক্ষাটি চালিয়েছে হাউ ইন্ডিয়া লাইভস (HIL) এবং কেডেন্স ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপ। সমীক্ষায় ২১টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৮টি জেলার ৯,১৮৮ জন মানুষের মত নেওয়া হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৪.৪ শতাংশ মানুষ শহরাঞ্চলের এবং ৪৫.৬ শতাংশ গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা।

POST A COMMENT
Advertisement