scorecardresearch
 

Jhargram Medical College: ছানি অপারেশন করিয়েছিলেন বৃদ্ধা, দেওয়া হল পেটের ওষুধ, কাঠগড়ায় ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ

ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার বিভ্রাটের একটি বড়সড় উদাহরণ সম্প্রতি সামনে এসেছে। ঝাড়গ্রাম শহরের শিরিষচক এলাকার বাসিন্দা, বৃদ্ধা হাসি দাস সরকারি হাসপাতালে ছানি অপারেশনের পর চোখের ড্রপ ব্যবহার করছিলেন। তারপরই বুঝতে পারেন তাঁর চোখ জ্বালা করছে। অপারেশনের পর হাসপাতালের ফার্মাসি কাউন্টার থেকে ডাক্তারদের লিখে দেওয়া ফ্রি চোখের ড্রপ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ, নির্ধারিত চোখের ড্রপের বদলে, দেওয়া হয়েছে বাচ্চাদের পেটের ব্যাথা উপশমের ওষুধ।

Advertisement
ভুক্তভোগী হাসি দাস। ফাইল ছবি ভুক্তভোগী হাসি দাস। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার বিভ্রাটের একটি বড়সড় উদাহরণ সম্প্রতি সামনে এসেছে। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার বিভ্রাটের একটি বড়সড় উদাহরণ সম্প্রতি সামনে এসেছে।
  • ঝাড়গ্রাম শহরের শিরিষচক এলাকার বাসিন্দা, বৃদ্ধা হাসি দাস সরকারি হাসপাতালে ছানি অপারেশনের পর চোখের ড্রপ ব্যবহার করছিলেন।

ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার বিভ্রাটের একটি বড়সড় উদাহরণ সম্প্রতি সামনে এসেছে। ঝাড়গ্রাম শহরের শিরিষচক এলাকার বাসিন্দা, বৃদ্ধা হাসি দাস সরকারি হাসপাতালে ছানি অপারেশনের পর চোখের ড্রপ ব্যবহার করছিলেন। তারপরই বুঝতে পারেন তাঁর চোখ জ্বালা করছে। অপারেশনের পর হাসপাতালের ফার্মাসি কাউন্টার থেকে ডাক্তারদের লিখে দেওয়া ফ্রি চোখের ড্রপ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ, নির্ধারিত চোখের ড্রপের বদলে, দেওয়া হয়েছে বাচ্চাদের পেটের ব্যাথা উপশমের ওষুধ।

এই বিভ্রাটের ফলে বৃদ্ধার চোখের অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং চোখের মনিতে ব্যথা বাড়তে থাকায় তাঁর দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অবগত হয়ে তদন্তের আশ্বাস দেন। ভুক্তভোগী বৃদ্ধা ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে দুবার অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন এবং জেলা শাসকের দফতরে এবিষয়ে জানিয়েছেন। তবে, এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতর থেকে কোনও ডাক পাননি তিনি।

ভুক্তভোগী বৃদ্ধা হাসি দাস বলেছেন, 'আমি ছানি অপারেশনের পর প্রেসক্রিপশনে দেওয়া ওষুধ নিয়েছিলাম হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে। লাগানোর পর সমস্যা শুরু হয়। ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি বলেন, ওই ওষুধ তিনি লেখেননি। ফার্মেসি ভুল ওষুধ দিয়েছে।'

আরও পড়ুন

স্থানীয় বিজেপি নেতা তুষার ঘোষাল বলেন, 'সরকারি হাসপাতালের এই ধরনের চিকিৎসা বিভ্রাট নতুন কিছু নয়। এর আগেও এমন ঘটনা বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে, যা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার করুণ ছবিটা সামনে এনেছে। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের এই সাম্প্রতিক ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয়। চিকিৎসা পরিষেবার এই ধরনের ত্রুটি এবং অব্যবস্থাপনা সাধারণ মানুষের বিশ্বাসে আঘাত হানে এবং তাদের জীবনে ঝুঁকি তৈরি করে।'

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এধরনের ঘটনা এড়াতে হাসপাতালগুলোতে আরও কঠোর নিয়মাবলী প্রয়োগ করতে হবে এবং ওষুধ বিতরণের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সঠিক প্রশিক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণ ছাড়া, এই ধরনের ভুলত্রুটি ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে, যা সাধারণ মানুষের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

Advertisement

স্থানীয়দের দাবি, সরকারি হাসপাতালগুলির প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে স্বাস্থ্য দফতরকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে এবং চিকিৎসা পরিষেবার মান উন্নত করতে হবে। এছাড়া, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত সঠিক চিকিৎসা পান এবং ভবিষ্যতে এমন ভুলত্রুটি এড়ানো যায়।
 

 

Advertisement