২৫মে রাজ্যে আছড়ে পড়বে YAAS। আবহাওয়ার পূর্বাভাষে এমনটাই জানানো হয়েছে। মূলত রাজ্যের উপকূল সংলগ্ন এলাকায় ইয়াস আছড়ে পড়লেও তার বেশ খানিকটা প্রভাব পড়বে উত্তরবঙ্গতেও। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ অর্থাৎ তরাই-ডুয়ার্স সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা এমনকী মালদা এলাকাতেও ইয়াস-এর প্রভাব পড়বে। উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা অংক কষে এ খবর জানিয়ে দিয়েছেন।
উপকূলের মতো না হলেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকছেই
উপকূলের মত প্রভাব না থাকলেও ঝড়-বৃষ্টি হবেই জানিয়ে দিচ্ছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি এবং তা থেকে ধ্বস নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আগাম সর্তকতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, ইয়াস-এর পরোক্ষ প্রভাব এ অঞ্চলে পড়বে প্রশাসনের তরফে সতর্ক থাকা উচিৎ। অন্য এক বিশেষজ্ঞ মধুসূদন কর্মকার জানিয়েছেন, ঝড়ের চেয়ে মূলত বৃষ্টিপাত বেশি হবে উত্তরবঙ্গে। তবে পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টিতে ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঝড় এখনও সম্পূর্ণ তৈরি হয়নি। আকার নিলে গতি স্পষ্ট বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রশাসনের তৎপরতা
দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে স্পর্শকাতর' এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই জায়গাগুলিতে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে এবং ইয়াস আছড়ে পড়লে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় স্থায়িত্ব ঘরবাড়ি চিহ্নিত করা হচ্ছে। যেখানে আশপাশের এলাকার মানুষজনকে নিয়ে এসে রাখা যেতে পারে।
উত্তরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা
জানা গিয়েছে, নিম্নচাপের জেরে সৃষ্টি হওয়া মেঘ উত্তরে সরে আসলে উত্তরবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে। যা দু-তিনদিন পর্যন্ত চলবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাষে বলা হয়েছে। সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, সমতলের শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এমনকী মালদা, দুই দিনাজপুরেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কিছু কিছু অংশে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফাঁকা জায়গাগুলিতে যেখানে বাড়িঘর কম, সেখানে ঝড়ের প্রভাব পরিলক্ষিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
আয়লার স্মৃতি ভয় জাগাচ্ছে
এর আগে আয়লার সময়ে ২০০৯ সালে ঝড়ের প্রভাব পড়েছিল বাংলাদেশে। সেই সময়ে গতিপথে উত্তরবঙ্গ তছনছ হয়ে গিয়েছিল। তেমনটা হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে জানানো হয়েছে।