scorecardresearch
 
Advertisement
বিশ্ব

Afghan Crisis: ১৫ অগাস্ট ঠিক কী কী হল আফগানিস্তানে? ২৪ ঘণ্টায় তালিবানদের দখলের গল্প

taliban
  • 1/13

১৫ অগাস্ট, যখন ভারত স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছিল, অন্যদিকে তালিবানরা অগ্রসর হচ্ছিল কাবুল দখলে। সেইসঙ্গে  গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে ঘটে যাওয়া পরিবর্তনগুলি পদদলিত করতে। ১৫ অগাস্ট সকালে, যখন খবর আসে যে তালিবান জালালাবাদ দখল করে নিয়েছে, তখন মনে হয়েছিল কাবুল তাদের জন্য আর দূরের গন্তব্য নয়। দুপুর নাগাদ তালিবান যোদ্ধারা কাবুলকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এই খবরে বিশ্বে  চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।  আমেরিকার দিকে প্রশ্ন আসতে থাকে, এটাই  কি আশরাফ গনি সরকার এবং আফগানিস্তানে শক্তিশালী সেনাবাহিনীর গত ২০ বছরের  প্রস্তুতি? এসব প্রশ্নের মাঝে সন্ধ্যায় দেখা গেল আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিও দেশ ত্যাগ করেছেন। রাতে, তিনি ফেসবুকে একটি আবেগপূর্ণ পোস্ট লিখেছিলেন।  গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দেশ ত্যাগের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
 

taliban
  • 2/13

গত ২৪ ঘণ্টায় তালিবানরা কাবুল দখল করে পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। আফগানিস্তানের সরকার এবং সেনাবাহিনী তালিবানের সামনে কত সহজেই হাল ছেড়ে দিয়েছে তা দেখে আমেরিকাও হতবাক। চলুন জেনে নিই গত ২৪ ঘণ্টায় ঠিক কী কী ঘটেছে আফগানিস্তানে।
 

taliban
  • 3/13

জালালাবাদ দখল করে তালিবানরা
১৫ অগাস্টের ভোর হওয়ার আগে তালিবানরা নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদ দখল করে নেয়। জালালাবাদের গভর্নর জিয়া-উল-হক তালিবানদের সাথে আলোচনা করে জালালাবাদকে তালিবানদের হাতে তুলে দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
 

Advertisement
taliban
  • 4/13

রাতারাতি জালালাবাদ দখল করার পর তালিবানরা রাজধানী কাবুলের পূর্বে সরোবি জেলার নিয়ন্ত্রণও নেয়। এটাই কাবুলের প্রথম শহর যা তালিবানদের দখলে আসে । 

taliban
  • 5/13

এর পর তালিবানরা পশ্চিম থেকে কাবুলকেও ঘিরে ফেলে। কাবুল থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে ময়দান ওয়ারদাক প্রদেশের রাজধানী ময়দান শহরটিও তালিবানদের হাতে চলে যায়।
 

taliban
  • 6/13

 তালিবানরা অন্য আরেকটি প্রদেশের রাজধানী খোস্টও দখল করে নেয়। এর ফলে, আফগানিস্তান সরকারের ৩৪টি  প্রদেশের মধ্যে কেবল কাবুল এবং অন্য পাঁচটি প্রাদেশিক রাজধানী নিজেদের  নিয়ন্ত্রণে থাকে।
 

taliban
  • 7/13

কাবুলের গেটে তালিবানরা
 আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, তালিবানরা চারদিক থেকে রাজধানী কাবুলের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। তালিবানদের উত্থানের মধ্যে, আফগান সরকার জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছিল যে কাবুলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।

Advertisement
taliban
  • 8/13

 এদিকে, তালিবানরাও একটি বিবৃতি জারি করে বলে  যে তারা তাদের যোদ্ধাদের কাবুলের গেটে অপেক্ষা করতে বলেছে এবং তারা জোর করে শহর দখল করবে না। তালিবানরা বলে, তারা ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় জীবন ও সম্পত্তির কোনো ক্ষতি চায় না।
 

taliban
  • 9/13

তালেবানদের উত্থানের বিষয়ে আমেরিকা ও রাশিয়ার বক্তব্য
তালিবানদের কাবুল অবরোধের বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী জমির কাবুলভ বলেন, আফগানিস্তান ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক আহ্বান করতে রাশিয়া অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে। রাশিয়া বলেছে, তারা আফগানিস্তানে তালিবানের কর্তৃত্বকে স্বীকৃতি দেবে না। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তালিবানকে সতর্ক করে বলেছে যে, তার সৈন্য ও জনগণ যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। মার্কিন সেনাবাহিনী কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়।
 

taliban
  • 10/13

আশরাফ গনি দেশ ছাড়লেন
তালিবানের একজন মুখপাত্র জানান, তাদের যোদ্ধারা কাবুলে লুটপাট বন্ধ করতে শহরে প্রবেশ করছে। এদিকে সন্ধ্যায় খবর আসে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। আশরাফ গনির দেশত্যাগ তার সমর্থকদের জন্য চরম হতাশার কারণ। আশরাফ গনি একদিন আগে পর্যন্ত বলছিলেন যে তিনি আফগানিস্তানে থাকবেন কিন্তু তিনি তার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি। আশরাফ গনি রাতে সোশ্যাল মিডিয়ার দেশ ছাড়ার ব্যাখ্যা দেন।
 

taliban
  • 11/13


তিনি লিখেন, "আজ আমার সামনে কঠিন বিকল্প রয়েছে। আমাকে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমার উচিত তালিবানের সামনে দাঁড়ানো। গত ২০  বছর ধরে, আমি এখানকার মানুষকে বাঁচাতে আমার জীবন ব্যয় করেছি। আমি যদি দেশ ছেড়ে না যেতাম, তার পরিণতি এখানকার মানুষের জন্য খারাপ হতো। তালিবানরা আমাকে সরিয়ে দিয়েছে। তারা কাবুলে এখানকার মানুষের ওপর হামলা করতে এসেছে।" তিনি আরও বলেন যে তালিবানরা সহিংসতার সাথে যুদ্ধে জিতেছে। এখন আফগানিস্তানের মানুষকে রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। গনি লিখেছেন যে রক্তপাত এড়াতে, আমি আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া সঠিক বলে মনে করেছি। তালিবানরা কাবুলে পৌঁছানোর সাথে সাথেই সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তালিবানের ভয়ে অনেক মানুষ আফগানিস্তান ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। কাবুল বিমানবন্দরেও প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।

Advertisement
taliban
  • 12/13

তালিবানরা রাষ্ট্রপতি প্রাসাদও দখল করেছে 
গনি দেশ ছাড়ার পর তালিবানরা আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তালিবানদের ডেপুটি লিডার মোল্লা বারদার বলেন, তিনি কখনোই আশা করেননি যে তারা এভাবে ফিরে আসবেন। তালিবান নেতা বলেন, এখন সেই ব্যক্তিদের পরীক্ষা করা হবে যে তারা কিভাবে আফগানিস্তানের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে।

taliban
  • 13/13

রাষ্ট্রসংঘের  নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক 
নরওয়ে এবং এস্তোনিয়া থেকে আবেদনের পর আজ সকাল ১০ টায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে UNSC একটি জরুরি বৈঠক করে। কাউন্সিলের কূটনীতিকরা জানান, রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আফগানিস্তানের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে কাউন্সিলের সদস্যদের ব্রিফ করবেন। গত শুক্রবার, রাষ্ট্রসংঘের প্রধান তালিবানদের    আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান এবং দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ এড়াতে আলোচনার কথা বলেছিলেন।

Advertisement