scorecardresearch
 
Advertisement
বিশ্ব

PHOTOS: মহাকাশে হচ্ছে 'ভূতের নৃত্য'! কারণ জানালেন বিজ্ঞানীরা

Dancing ghosts
  • 1/10

পৃথিবীতে আপনি নিশ্চয়ই ভূতের গল্প অনেক শুনেছেন। কিন্তু আপনি কি ভূতেদের  মহাকাশে নাচতে দেখেছেন? আপনি যে ছবিটি এখানে দেখছেন তা হল 'ডান্সিং ভূত' -এর (Dancing Ghosts) ছবি। যা সুদূর মহাকাশে দুটি ছায়াপথের (Galaxies) পাশে দৃশ্যমান। পাশাপাশি, তাদের কাছাকাছি একটি বড় ভয়ঙ্কর কৃষ্ণগহ্বরও রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মহাকাশচারীরা যখন এটিকে টেলিস্কোপ দিয়ে দেখলেন, তারা অবাক হয়ে গেলেন। অনেক কিছুই তাদের বোধগম্যে আসেনি। তারা এখন এই  'ডান্সিং ভূত'দের নিয়ে পড়াশোনা করছেন। আসুন জেনে নিই এই ভূতের রহস্য কি? 
(ছবি: Jayanne English EMU Dark Energy Survey)
 

Dancing ghosts
  • 2/10

অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির (Western Sydney University) স্কুল অব সায়েন্সের অধ্যাপক জ্যোতির্বিজ্ঞানী রে নরিস বলেন, কয়েক মাস আগে, আমরা সত্যিই জানতাম না যে এই নাচের কারণ কী। এরা চেহারাতে ভূতের মতো। কিন্তু এখন আমরা খুঁজে পেয়েছি এই  পিছনে কী আছে? এগুলো কোথায়? তাদের চারপাশে কী আছে? এই নিত্য-পরিবর্তনশীল নীল-সবুজ আকৃতি কিভাবে গঠিত হয়েছিল? কোথা থেকে এটা এলো? কতক্ষণ  এখানে এভাবে নাচতে দেখা যাবে। নাকি  সবসময় একই স্তর থেকে নাচবে। শেষ হবে নাকি? 
(ছবি: Jayanne English EMU Dark Energy Survey)
 

Dancing ghosts
  • 3/10

রে নরিসের এই আবিষ্কার সম্প্রতি কসমস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। মূলত এই 'ড্যান্সিং ভূত'  (Dancing Ghosts) হল দুটি রেডিও গ্যালাক্সি এবং ব্ল্যাক হোলের মধ্যে আটকে থাকা ইলেকট্রনের মেঘ (Cloud of Electrons)। যা ঘটে তা হল, ব্ল্যাকহোল ইলেকট্রনের তরঙ্গ নির্গত করে, তখন তারা ছায়াপথের মধ্যে প্রবাহিত বাতাসে আটকা পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের আকৃতি তৈরি করে। যা দেখে আপনি আপনার মত কোন আকৃতির নাম দিতে পারেন। 'ড্যান্সিং ভূতের' (Dancing Ghosts) -এর এই ছবিটি ইউনিভার্সের বিবর্তনীয় মানচিত্র (EMU) প্রকল্পের অংশ। (ছবি: Jayanne English EMU Dark Energy Survey)
 

Advertisement
Dancing ghosts
  • 4/10

মহাবিশ্বের বিবর্তনীয় মানচিত্র (EMU) প্রকল্পের অধীনে, মহাকাশে ৭ কোটি রেডিও উৎস অধ্যয়ন করা হচ্ছে। তাদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করতে হবে। ইএমইউ প্রকল্পে নিউ অস্ট্রেলিয়ান স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে পাথফাইন্ডার (ASKAp) রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে মহাকাশের সুদূর গভীরে উপস্থিত এই ধরনের অজানা ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করা যায়। রে নরিস বলেছেন যে যখন আপনি এত শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়ে অন্য জগতের দিকে তাকান, আপনি নতুন কিছু দেখতে পাবেন। (ছবি: গেটি)

Dancing ghosts
  • 5/10

মহাবিশ্বের বিবর্তনীয় মানচিত্র (EMU) প্রকল্পের অধীনে আবিষ্কৃত 'ড্যান্সিং ঘোস্টস' শুধু বিজ্ঞানীদেরই বিস্মিত করে না। আরও অনেক মহাজাগতিক বস্তুও আবিষ্কৃত হয়েছে। রেডিও নির্গমন একটি স্থানে এত বেশি যে এর একটি বৃত্ত আছে। যা পৃথিবী থেকে লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে। এর নাম দেওয়া হয়েছে অড রেডিও সার্কেল (Odd Radio Circles)। মহাকাশে এই প্রক্রিয়াটি বহু বছর ধরে বিজ্ঞানীদের কাছে একটি ধাঁধা রয়ে গেছে। বিজ্ঞানীরা এখনও এর রহস্য বেদ করতে পারেননি।
(ছবি: গেটি)

Dancing ghosts
  • 6/10


অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অব অস্ট্রেলিয়ার পাবলিকেশনে 'ড্যান্সিং ঘোস্টস' -এর রিপোর্টও প্রকাশিত হতে চলেছে। নৃত্যরত ভূত এবং অড রেডিও সার্কেল খুব বিরল। এগুলো সাধারণত মহাকাশে দেখা যায় না। বিজ্ঞানীরা 'ড্যান্সিং ঘোস্টস' এর আশেপাশের এলাকাটিকে IC5063 গ্যালাক্সি নামে অভিহিত করেছেন। এখানে একটি বিশাল রেডিও গ্যালাক্সি রয়েছে। (ছবি: গেটি)

 

Dancing ghosts
  • 7/10

যেখানে 'ভূতের নাচ' আছে, সেখানে সবচেয়ে বড় রেডিও গ্যালাক্সি সহ আরেকটি গ্যালাক্সি আছে। উভয়ের পিছনে একটি বড় কৃষ্ণগহ্বর রয়েছে। নির্গত ইলেকট্রন তরঙ্গ প্রায় ৫০ লক্ষ  আলোকবর্ষ ভ্রমণ করে এই নৃত্যরত ভূতের মতো আকার তৈরি করে। নিউ অস্ট্রেলিয়ান স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে পাথফাইন্ডার (ASKAP) রেডিও টেলিস্কোপ পৃথিবীর একমাত্র টেলিস্কোপ যা এই ছবিটি এত স্পষ্টভাবে তুলেছে।  (ছবি: গেটি)

Advertisement
Dancing ghosts
  • 8/10

এই ব্ল্যাক হোলগুলি সাধারণত দূরবর্তী স্থানে রেডিও নির্গমনের সবচেয়ে বড় কারণ। যাকে মহাবিশ্বের শয়তানও বলা হয়। তারা বিস্ময়করভাবে উজ্জ্বল আলোর সংকেত  নির্গত করে। সাধারণত রেডিও টেলিস্কোপ এই সূক্ষ্ম এবং দূরবর্তী রেডিও সংকেত দেখতে পারে না। কিন্তু নিউ অস্ট্রেলিয়ান স্কয়ার কিলোমিটার এবং পাথফাইন্ডার (ASKAP) রেডিও টেলিস্কোপ এটি দেখতে সক্ষম। এটি কয়েক কোটি আলোকবর্ষের দূরত্বে মহাকাশে উঁকি দিতে পারে। সেখানে খবর আনতে পারে। তাও পৃথিবীর দক্ষিণাংশে অবস্থান করা সত্ত্বেও। (ছবি: গেটি)
 

Dancing ghosts
  • 9/10


ইউনিভার্সের বিবর্তনীয় মানচিত্র (ইএমইউ) প্রকল্পটি ২০৯  সালে শুরু হয়েছিল।২০ টিরও বেশি দেশের ৪০০ এরও বেশি বিজ্ঞানী ইএমইউর দলে কাজ করছেন। এই মুহূর্তে এই প্রকল্প চলছে। অর্থাৎ, এখন ASKAP এর মত আরো দূরবীন তৈরি করা হবে, যাতে মহাকাশের গভীরতা দেখে আমরা মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। রহস্য উদঘাটন করতে পারি। কারণ মানুষ জানে না মহাকাশে অন্য কোথাও জীবন আছে কিনা। নাকি পৃথিবীতে শুধু জীবন আছে? পৃথিবীতে যদি হলোকাস্ট হয়, তাহলে মানুষ কি অন্য কোন গ্রহে বাস করতে পারে? এর জন্য মহাবিশ্বে  এই ধরণের অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে হবে। (ছবি: গেটি)

Dancing ghosts
  • 10/10

মহাবিশ্বের বিবর্তনীয় মানচিত্র (ইএমইউ) প্রকল্পটি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরও বড় হবে। এর সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে রাখা হয়েছিল। আগেও এমনি  রাখা হবে। প্রতিটি নতুন তথ্য জনসাধারণের কাছে উপস্থাপন করা হবে। কারণ তাদের মহাবিশ্বকে পৃথিবী সম্পর্কে তথ্য দেওয়া  এই ধরনের বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের কাজ। তারা বলেন যে আমরা এই ধরনের তথ্য দিয়ে মানুষের জ্ঞান বাড়াতে চাই। কারণ এটি ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয়। (ছবি: গেটি)

Advertisement