গত কয়েক দিন ধরে সারা বিশ্বের নজর টিকেছিল আমেরিকার ওপর। হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনে ইতিমধ্যে জয়-পরাজয়ের চিত্রটি স্পষ্ট হয়ে গেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের পরবর্তী দাবিদার সামনে চলে এসেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টে নির্বাচনে জয়ী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে যাওয়া এখন সময়ের ব্যবধান মাত্র। এর মধ্যে বেশ ভয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের পদ হারানোর পর জেলে যেতে হতে পারে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
ক্ষমতা হারানোর পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হতে পারে ধর্ষণসহ বিভিন্ন মামলা। এগুলোর কারণে হতে পারে জেলও। আর এমন ভয় থেকেই ভোট গণনার সময় কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
ট্রাম্প ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই মুহূর্তে হোয়াইট হাউস ছাড়বেন না। কিন্তু কেন তিনি হোয়াইট হাউস ছাড়বেন না, তা নিয়ে এবার বিস্ফোরক তথ্য সামনে এলো। জানা যাচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে বেরোলেই তাঁকে হয়তো জেলে যেতে হতে পারে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে কয়েকটি মামলা রয়েছে। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে সেগুলো ঠেকিয়ে রেখেছেন তিনি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর সেই ক্ষমতা আক থাকবে না তাঁর। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন ফেডারেল প্রসিকিউটর হ্যারি স্যান্ডিকের অভিমত, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর প্রসিকিউটর ও সাক্ষীদের পক্ষে মামলা চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে।
বর্তমানে ফৌজদারি মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য উচ্চতর সুরক্ষা দাবি করেন ট্রাম্প। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে গেলে এমন দাবি তিনি করতে পারবেন না।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, ট্যাক্স জালিয়াতি, আর্থিক তছরূপ, নির্বাচনী জালিয়াতির মতো একাধিক অভিযোগে মামলা করা হতে পারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, মামলার পাশাপাশি ট্রাম্পের বিশাল আর্থিক ক্ষতিও হতে পারে। আগামী ৪ বছরের মধ্যে ট্রাম্পকে ৩০ কোটি ডলারের ঋণ চোকাতে হবে।
তবে সবচেয়ে বড় গুরুতর ও দ্রুত বিপদ নিয়ে আসতে পারে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা। প্রসিকিউটররা বাণিজ্যিক লেনদেন ও করের নথি চাইলেও ট্রাম্প তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। আরেকবার ক্ষমতায় থাকলে এসব মামলা চালিয়ে নেওয়ার পথ হয়তো চিরতরে বন্ধ করার পরিকল্পনা ছিল ট্রাম্পের। কিন্তু সে সময় হয়তো তিনি আর পাচ্ছেন না।