Advertisement
বিশ্ব

Putin-Trump Meeting: ট্রাম্প-পুতিন একটি বিষয়েই একমত হলেন না, কিন্তু ডিনারে আড্ডার এই ছবিগুলি অনেক কিছুর ইঙ্গিত

  • 1/11

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামবে কিনা, তার স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত নেই। রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার তেল নিয়ে ঠান্ডা যুদ্ধ থামবে কিনা, তারও স্পষ্ট উত্তর মিলল না। কিন্তু আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিটিং ও ডিনারে যে ছবিগুলি দেখা গেল, তা থেকে অনেক কিছু বার্তা পেল বিশ্ব। 
 

  • 2/11

২০১৯ সালের পরে এই প্রথমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন মুখোমুখি মিটিং করলেন। এই মিটিংয়ের যে ব্যানার টাঙানো হয়েছিল, তাতে লেখা ছিল, 'Pursuing Peace' অর্থাত্‍ 'শান্তির সন্ধান'। 
 

  • 3/11

বৈঠকের আগে যেন ট্রাম্প অ্যাজেন্ডা সেট করে দিলেন একটি মন্তব্যে। জানালেন, তাঁর লক্ষ্য হল, যুদ্ধ দ্রুত থামানো। এবং পুতিনের থেকে প্রতিশ্রুতি নেওয়া, যাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক টেবিলে বসে আলোচনা করেন শীঘ্রই। ট্রাম্প এই সব বললেন, বৈঠক শেষে দেখা গেল, যুদ্ধ থামা বা পুতিন-জেলেনস্কির মিটিং নিয়ে কোনও সহমত মেলেনি। কিন্তু ট্রাম্পকে এরপরের মিটিংয়ে মস্কোয় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলেন পুতিন।

Advertisement
  • 4/11

যদিও ট্রাম্পের দাবি, আলাস্কার মিটিং অত্যন্ত ভাল হয়েছে। একাধিক ইস্যুতে সহমত পোষণ করা হয়েছে। যদিও তিনি এও স্পষ্ট করেছেন যে 'কোনও চুক্তি হয়নি, যতক্ষণ না সব ঠিক হয়।' তাঁর কথায়, 'কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে, তবে সেগুলিও মিটে যেতে পারে।' পুতিনও একই সুরে বলেছেন, তারা একটি 'বোঝাপড়ার জায়গায় পৌঁছেছেন', যদিও তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, এখন দায়িত্ব মূলত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। তাঁর কথায়, এখন এটা জেলেনস্কির ওপর নির্ভর করছে, আর ইউরোপীয় দেশগুলিকেও একটু এগিয়ে আসতে হবে। যদিও এই বৈঠকে জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে ভবিষ্যতে আবারও আলোচনা হতে পারে।

  • 5/11

সবচেয়ে তাত্‍পর্যপূর্ণ বিষয় হল, যে আলাস্কা একময় সোভিয়েত ইউনিয়নেরই অংশ ছিল, আমেরিকাকে সোভিয়েত ইউনিয়ন দিয়ে দিয়েছিল, সেই আলাস্কাতেই পুতিন বৈঠক করলেন ট্রাম্পের সঙ্গে। আলাস্কাতে মিটিং করেও ট্রাম্পকে বড় বার্তা দিলেন পুতিন।

  • 6/11

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে ঠিকই, তবে বড় কিছু বিষয় এখনও ঝুলে আছে। তিনি বলেন, 'অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি, কিন্তু কিছু জিনিস এখনও বাকি। এর মধ্যে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আছে, তবে এখনই সেটা বলছি না।' ট্রাম্প জানালেন, তিনি শিগগিরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। একই সঙ্গে ইঙ্গিত দিলেন, তাঁর পুতিনের সঙ্গে পরের বৈঠক হয়তো মস্কোতেই হতে পারে।
 

  • 7/11

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানালেন, তিনি সত্যিই যুদ্ধ শেষ করতে চান, তবে তার আগে সংঘাতের  মূল কারণগুলি মিটিয়ে নিতে হবে। তিনি সতর্ক করে দিলেন, ইউক্রেন আর ইউরোপ যেন আলোচনায় বাধা না দেয়। পুতিনের দাবি, যদি ট্রাম্প ২০২২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকতেন, তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুই হত না।
 

Advertisement
  • 8/11

পুতিন ট্রাম্পের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের প্রশংসা করে বললেন, আমেরিকা আর রাশিয়ার এখনই উচিত নতুন অধ্যায় খুলে সহযোগিতার পথে হাঁটা। তাঁর চোখে, ট্রাম্প হলেন এমন এক নেতা যিনি স্পষ্টভাবে চিন্তা করেন এবং দেশের সমৃদ্ধি নিয়েই ভাবেন।
 

  • 9/11

বৈঠকের পর পুতিন আলাস্কায় সেই সমাধিক্ষেত্রে ফুল দিলেন, যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লেন্ড-লিজ প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারানো সোভিয়েত পাইলটরা শুয়ে আছেন। প্রথমে একান্তে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা ৩-জন বনাম ৩-জন আলোচনায় রূপ নেয়। মার্কিন দিক থেকে ছিলেন মার্কো রুবিও আর উইটকফ, রুশ দিক থেকে ছিলেন সের্গেই ল্যাভরভ ও ইউরি উশাকভ। ২০১৮ সালের হেলসিঙ্কি বৈঠকের তুলনায় এ বার অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে।

  • 10/11

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই বৈঠকে ডাক পাননি। তবে ভিডিও বার্তায় তিনি বললেন, সবাই চাইছে যুদ্ধটা সৎভাবে শেষ হোক। ইউক্রেন প্রস্তুত আছে। কিন্তু যুদ্ধটা দীর্ঘ হচ্ছে কারণ মস্কো থেকে এখনও কোনও ইঙ্গিত আসছে না যে তারা সত্যিই এটা থামাতে চায়।

  • 11/11

ট্রাম্প আরও বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে একটি বিষয়ে একমতে পৌঁছনো যায়নি।আর সে কারণেই চুক্তি হয়নি। তবে বিষয়টি কী তা বলেননি ট্রাম্প।

Advertisement