উল্কার গতিতে উত্থান, চিনে নিন বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনীকে

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছেন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা’র মালিক ইলন মাস্ক। 

সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকা প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স। মোট সম্পত্তির বিচারে বিশ্বের ৫০০ ধনী ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ। এই তালিকার তিন নম্বরে স্থান হয়েছে বিল গেটসের। 

তবে  তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তার সম্পদের পরিমাণ ১৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
 

জানুয়ারিতে ইলন মাস্ক ছিলেন ৩৫তম স্থানে। সেখান থেকে গত সেপ্টেম্বরে ফেসবুক প্রধানকেও পেছনে ফেলেন তিনি। এবার পেছনে ফেললেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতাকেও।

এদিকে সম্পত্তির হিসাবে ইলন মাস্কের অর্থের পরিমাণ এখন ১২ হাজার ৭৯০ কোটি ডলার। চলতি বছরেই ১০ হাজার কোটি ডলার সম্পত্তি বেড়েছে মাস্কের। টেসলা ছাড়াও রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সে ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে মালিকানা আছে তাঁর। এর সঙ্গে নগদ অর্থ তো আছেই।

৪৯ বছরের  ইলন মাস্কে এখনও পর্যন্ত ৮টি সংস্থার মালিক। জানা যায় ইলনের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। তিনি ১৭  বছর বয়সে কানাডা এসেছিলেন।  ছোট বেলায় তাঁর বাবা-মা ভেবেছিলেন তিনি বধির। ৯-১০ বছর বয়স থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখতে শুরু করেছিলেন তিনি। 

ইলন মাস্কের মালিকানাধীন জনপ্রিয় ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা’র শেয়ারের মূল্য গত এক বছরে প্রায় ৬৭৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর টেসলার প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ছিল ৬৭ দশমিক ২৭ মার্কিন ডলার, তবে বর্তমানে তা ৫২১ দশমিক ৪০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

টেসলা যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ শেয়ারবাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে এর শেয়ারের দাম বেড়েছে হু হু করে। ফলে এই এক বছরে টেসলা’র ২০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইলন মাস্কেরও সম্পদ বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তালিকায় ৩৫তম অবস্থান নিয়ে বছর শুরু করেছিলেন ইলন মাস্ক। এরপর দেখতে দেখতেই সেখানে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নিয়েছেন এই ধনকুবের।

এদিকে এই তালিকায় ফেসবুক কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গ পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ হাজার ২০০ কোটি ডলার।

শীর্ষ ধনীদের তালিকায় কিছুটা পিছিয়েছেন ভারতীয় শিল্পপতি মুকেশ অম্বানি। তালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন তিনি । করোনার প্রকোপে গোটা বিশ্ব যখন কাবু, সেইসময়ও একের পর এক বিদেশি বিনিয়োগ টেনে রিলায়্যান্সকে দেনামুক্ত করেছেন তিনি। এই মুহূর্তে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।