গোটা দেশে এখন চলছে বর্ষা তার সাথে খবর পাওয়া যাচ্ছে ভূমিধসের। তবে এবার বলা যায়, কেবল পৃথিবী নয়, ভূমি ধসের অভিজ্ঞতা রয়েছে মঙ্গল গ্রহেরও।
লাল গ্রহের উপরে ভ্রমণকারী এক্সো-মার্স অরবিটার সেই ভূমিধসের ছবি পাঠিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ৫ কিলোমিটার বিস্তৃত ভূমিধস। গত ১৩ এপ্রিল মঙ্গলের এওলিস অঞ্চলে এই ছবি ধরা পড়েছে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এক্সো-মার্স অরবিটার পরিচালনা করে। তারা বলছে যে ভূমিধস হচ্ছে নির্দিষ্ট পরিবেশগত অবস্থার অধীনে ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া। "পৃথিবীর মতো মঙ্গল গ্রহে, এগুলি বিভিন্ন আকারে আসে এবং লাল গ্রহের দেহে দেখা অনুরূপ প্রক্রিয়াগুলি বোঝার জন্য পৃথিবীর অ্যানালগগুলি ব্যবহার করা হয়।"
ছবিতে দেখা যাচ্ছে উপাদানগুলির দ্রুত পতন হচ্ছে। ইএসএ বলছে, "এটি ইঙ্গিত দেয় যে এখানে ধস কোনও সাম্প্রতিক ঘটনা নয়, তবে এটির গঠনের সঠিক তারিখ নির্ধারণ করা একটি চ্যালেঞ্জ।"
এদিকে মার্স বা মঙ্গল বা লাল গ্রহের রহস্য প্রতিদিন অল্প অল্প করে কমছে আমাদের কাছে । সম্প্রতি নাসার কিউরিওসিটি মার্স রোভার কর্তৃক পাঠান একটি ছবি আমাদের বিস্ময়ের চরম সীমায় পৌঁছিয়ে দিয়েছে। পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৯২.৭২ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরের একটি ক্ষতবিক্ষত পাহাড়ি অঞ্চলের প্যানোরমিক ভিউ আমরা পেয়েছি এই ছবির মাধ্যমে।
মঙ্গল গ্রহে অভিযান চালাচ্ছে নাসার পাঠানো রোভার পারসিভের্যান্স। লাল গ্রহের পৃষ্ঠদেশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে (পাথর) পৃথিবীতে ফিরবে এই রোভার। তবে প্রথম পাথর সংগ্রহের কাজে ব্যর্থ হয়েছে রোভার পারসিভের্যান্স। যদিও প্রথম পর্যায়ে অসফল হলে ফের নতুন করে মঙ্গল গ্রহ থেকে পাথর সংগ্রহের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে রোভার পারসিভের্যান্স।
দ্বিতীয় চেষ্টার একদম শেষ পর্যায়ে রয়েছে নাসার এই মার্স রোভার। প্রথমবারের মতোই এ বারও পাথর খুঁড়ে অর্থাৎ খনন কার্য চালিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে মার্কিন স্পেস এজেন্সির রোভার পারসিভের্যান্স। জানা গিয়েছে, ‘Rochette’ নামের একটি প্রস্তর খণ্ডের উপর খনক কার্য চালাবে এসইউভি সাইজের রোভার পারসিভের্যান্স। এরপর ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে যে গর্ত তৈরি হবে সেখান দিয়ে বৈজ্ঞানিকরা ওই পাথরের ভিতরের অংশ দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন যে আদৌ এখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা নাকি হবে না।