মার্কিন সংস্থা ফাইজার ভ্যাকসিন দেশের জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ করতে অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটেন। আগামি সপ্তাহ থেকেই সে দেশে টিকা উপলব্ধ করবে ফাইজার-বায়োএনটেক।
আগামী সপ্তাহ থেকেই গোটা ব্রিটেন জুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করা হবে। তবে এই কর্মসূচি হবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে। একমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদেরই আগে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার।
নিজেদের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ৯৫ শতাংশের বেশি সুরক্ষা দিতে পারে বলে আগেই দাবি করেছিল মার্কিন সংস্থা ফাইজার ও বায়োএনটেক। বিশ্বের ৬টি (যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তুরস্ক) দেশে ৪৩ হাজার ৫০০ জনের দেহে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষায় কোনো রকম ঝুঁকি দেখা যায়নি।
বলা হচ্ছে, এই ভ্যাকসিন কারা পাবে তা বয়স বিবেচনার ওপর নির্ভর করছে। আর যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে তারা অগ্রাধিকার পাবে।সাধারণত যুক্তরাজ্যে প্রাথমিক অগ্রাধিকার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বয়স্ক কেয়ার হোমের বাসিন্দা এবং সেখানকার কর্মচারীরা। তাদের পরে স্বাস্থ্যকর্মী তথা হাসপাতালের কর্মীরা এগিয়ে রয়েছেন। এরপর মূলত বয়স অনুসারে ঝুঁকিপূর্ণ ও নানা ঝূঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্তরা স্থান পাবেন।অগ্রাধিকার তালিকার সবার নিচের দিকে মূলত ৫০ বছরের কম বয়সী লোকদের নাম রয়েছে।
বলা হচ্ছে, এই ভ্যাকসিন কারা পাবে তা বয়স বিবেচনার ওপর নির্ভর করছে। আর যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে তারা অগ্রাধিকার পাবে।সাধারণত যুক্তরাজ্যে প্রাথমিক অগ্রাধিকার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বয়স্ক কেয়ার হোমের বাসিন্দা এবং সেখানকার কর্মচারীরা। তাদের পরে স্বাস্থ্যকর্মী তথা হাসপাতালের কর্মীরা এগিয়ে রয়েছেন। এরপর মূলত বয়স অনুসারে ঝুঁকিপূর্ণ ও নানা ঝূঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্তরা স্থান পাবেন।অগ্রাধিকার তালিকার সবার নিচের দিকে মূলত ৫০ বছরের কম বয়সী লোকদের নাম রয়েছে।
বলা হচ্ছে, এই ভ্যাকসিন কারা পাবে তা বয়স বিবেচনার ওপর নির্ভর করছে। আর যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে তারা অগ্রাধিকার পাবে।সাধারণত যুক্তরাজ্যে প্রাথমিক অগ্রাধিকার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বয়স্ক কেয়ার হোমের বাসিন্দা এবং সেখানকার কর্মচারীরা। তাদের পরে স্বাস্থ্যকর্মী তথা হাসপাতালের কর্মীরা এগিয়ে রয়েছেন। এরপর মূলত বয়স অনুসারে ঝুঁকিপূর্ণ ও নানা ঝূঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্তরা স্থান পাবেন।অগ্রাধিকার তালিকার সবার নিচের দিকে মূলত ৫০ বছরের কম বয়সী লোকদের নাম রয়েছে।
সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া এত সহজ নয়, এজন্য অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ভ্যাকসিনটি -৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখতে হবে। তবে , স্বস্তির বিষয়টি এটি কয়েক দিনের জন্য সাধারণ রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা (২-৮ ডিগ্রি) অবধি রাখা যেতে পারে।
এর সাথে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের থেকেও প্রত্যাশা রয়েছে। যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০০ মিলিয়ন ডোজ কিনেছে।
সরকার এই ডোজটি সবার জন্য করার চেষ্টা করছে। বিজ্ঞান ও মানব সমাজের জন্য এটি বড় সাফল্য বলে দাবি করেছে ফাইজার ও বায়োএনটেক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) আগেই জানিয়েছিল, ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের জন্য ১০ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৩৭ টাকা খরচ করতে হবে।
একে নতুন ধরনের এমআরএনএ জাতীয় ভ্যাকসিন বলেছেন গবেষকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ভাইরাসের জেনেটিক কোড থেকে ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন।
ব্রিটেনে টিকাকরণ শুরু হলেও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে ঢিলেমি দিলে চলবে না বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। আগের মতোই মাস্ক পরা বা শারীরিক দূরত্ব বজার রাখার মতো সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
তবে ফাইজার টিকা নিয়ে বিশেষ উৎসাহ দেখায়নি ভারত। দেশের ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞদের টিকা চাহিদার তালিকায় নেই এই মার্কিন ভ্যাকসিন।
ভারত এই টিকা নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখায়নি বিশেষ তার প্রধান কারণ সংরক্ষণের নিয়ম। এই টিকা সংরক্ষণের জন্য মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন। সাধারণত ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। তবে এই টিকার সংরক্ষণ নিয়ম আলাদা। এত কম সময়ে সেই পরিকাঠামো তৈরি ভারতের পক্ষে সম্ভব নয়।