করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ধাক্কায় বেসামাল হয়েছিল দেশ। এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। তার সঙ্গেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট । করোনার ৮০ শতাংশ রোগীই এই নয়া প্রজাতিতে আক্রান্ত হতে পারে, দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামীদিনে এই ডেল্টা প্লাস ভাইরাসই ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক মনে করছে, এই নতুন স্ট্রেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে চলেছে। নতুন স্ট্রেনে আক্রান্তও হয়েছেন অনেকেই। কেন্দ্রীয় সরকার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিকে 'ভ্যারিয়্যান্ট অফ কনসার্ন'-এর আখ্যা দিয়েছে।
করোনাভাইরাসে নতুর রূপগুলির বিরুদ্ধে রীতিমত কার্যকর দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। এমনটা আগেই দাবি করা হয়েছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) এবং পুনের ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি ও ভারত বায়োটেকের যৌথ গবেষণায়।
ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন বিটা ও করোনাভাইরাসের ডেল্টা রূপগুলির বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
এবার সেই একই দাবি করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ। NIH বলছে আলফা এবং ডেল্টা দুটি করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেই সুরক্ষা দিতে সক্ষম ভারতীয় কোভ্যাক্সিন।
NIH এর গবেষণায় দেখা গেখে কোভ্যাক্সিন নেওয়া লোকেরদের শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তা B.1.1.7 (আলফ) and B.1.617 দুটি ক্ষেত্রেই লড়াই করতে সক্ষম।
এখনও পর্যন্ত বারতে ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষকে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অনুমোদন প্রাপ্ত টিকার তালিকায় ভারতের কোভিশিল্ড থাকলেও কোভ্যাক্সিনের এখনও নাম ওঠেনি।